নিজস্ব সংবাদদাতা:- রাস্তা পথে অথবা চার দেওয়ালের ঘরের মাঝে কারোও কাশি হতে দেখলেই মনের ভেতরে যেন থরহরিকম্প শুরু হয়ে যাচ্ছে। একজন লোকের কাশিই যেন আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছে আমাদের সামাজিক জীবনে। অবশ্যই এই আতঙ্কের কারণ আছে। কারণটি হলো অতিমারি করোনা।
তবে আমাদেরকে বুঝতে হবে কাশি মানেই করোনা নয়, অন্তত চিকিৎসকগণ এই কথাই বলছেন। কাশি অবশ্যই করোনার একটি বিশেষ উপসর্গ তবে সাধারণ কাশি এবং করোনার কাশির মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। এই দুটো কাশি এক নয়।
পার্থক্যটা কি
* একজন সাধারণ ব্যক্তি যেভাবে কাশি দেন, একজন করোনা সংক্রমিত ব্যাক্তি সেভাবে কাশি দেবেন না তিনি কাশি দেওয়ার সময় একটু বেগে এবং জোরে কাশি দিবেন।
* একজন করোনায় আক্রান্ত ব্যাক্তি কাশি দেওয়ার সময় একজন সাধারণ মানুষের কাশি দেওয়ার মতো করে একবার বা দুইবার কাশি দিয়ে থেমে যাবেন না বরং তিনি অনেকক্ষণ ধরে কাশি দিতে থাকবেন। এই সময়টা এক ঘন্টা পর্যন্তও দীর্ঘ হতে পারে।
* একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি অবশ্যই শুকনো কাশি হবে এবং কফ বের হতে পারে। এই কাশি সাধারণ কাশির মতো হবে না আর একজন সংক্রমিত ব্যক্তির কাশির সাথে কফ বেরিয়ে আসা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
তাই এখন আমাদের কারোও কাশি হতে দেখলেই আতঙ্কিত না হয়ে আমাদেরকে লক্ষণগুলো বুঝে নিতে হবে। কেউ দীর্ঘক্ষন কাশি দিতে থাকলে এবং গায়ে জ্বর জ্বালা থাকলে তার দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে হালকা কারো কাশিতে অযথা ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।