ওয়েব ডেস্ক :- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বসার পর থেকেই লাগাতারভাবে আরব দেশগুলোর ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে যাতে করে তারা ইসরাইলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্থাপন করে। আর এই কাজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পাম্পেই এর মাধ্যমে নির্লস ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।
আর এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পাম্পে ফের একবার পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর সফরে বেরিয়ে পড়েছেন। সফরের প্রথম দেশ হিসেবে তিনি সর্বপ্রথম ইজরায়েলের পৌঁছান।সেখানকার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার পর তিনি আরব বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো ভ্রমণ করবেন। যাতে করে খুব দ্রুত ইসরাইলের সাথে আরব বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা যায়। ইতিমধ্যেই ইসরায়েলের সঙ্গে মিশর, জর্দান এবং ইউনাইটেড আরব আমিরাত চুক্তিবদ্ধ রয়েছে।এর মধ্যে আরব আমিরাত খুব সম্প্রতি আমেরিকার মধ্যস্থতায় ইজরায়েলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।এখন আমেরিকা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে করে সৌদি আরবকে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ করা যায়।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন ইসরাইল তার স্বার্থসিদ্ধির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার মাধ্যমে আরব বিশ্বের সাথে নিজেদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইছে। কারণ তারা ভালভাবেই জানে আরবদের সমর্থন ছাড়া ভবিষ্যতে ইসরাইল রাষ্ট্রটিকে টিকিয়ে রাখা মুশকিল।
এদিকে ইজরায়েলের স্বার্থ দেখতে গিয়ে গোটা বিশ্বে আমেরিকা নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট করে ফেলেছে। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তিনি এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্য কোন প্রেসিডেন্ট নিতে সাহস করেননি নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কথা ভেবে।
বাইতুল মুকাদ্দাস কে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া, সিরিয়ার গোলান মালভূমি কে ইজরায়েলের অন্তর্ভুক্তি করা, ইসরাইলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য সবচেয়ে ভয়ানক চুক্তি “ডিল ওফ দি সেঞ্চুরি” উত্থাপন করা, এরকম বহু কাজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট করে যাচ্ছেন আরব বিশ্বের বুকে ইসরাইল রাষ্ট্র টিকে টিকিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু এত কিছুর পরও আরব বিশ্বে ইজরায়েল রাষ্ট্রে টিকে থাকবে কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন।