নিজস্ব প্রতিনিধি, করাচি:- চলতি শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ঙ্করতম বন্যায় প্লাবিত পাকিস্তানের করাচি শহর।বলা হচ্ছে ১৯৩১ সালের পর এত বড় ভয়ঙ্কর বন্যা করাচি শহর আর কখনো দেখেনি। পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল শহর করাচি বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে জলের তলায় ডুবে গেছে।
এখন পর্যন্ত ৪১ জন ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, তবে এ সংখ্যাটি আগামীতে আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এখনও অনেক লোক শহরের বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছে আর অনেকের এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। শহরের দক্ষিণ প্রান্তের নিচু এলাকায় অবস্থিত বস্তিগুলোর অবস্থা সবচেয়ে করুণ। ভয়াবহ বন্যার জলের তোড়ে ছোট ছোট ঘড়গুলো প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
ইতিমধ্যে পাকিস্তানের “জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা টিম”আটকে থাকা লোকেদের উদ্ধারে নেমে পড়েছে। দেশের সেনা বিভাগকেও উদ্ধারের জন্য ডাকা হয়েছে। পাকিস্তানে নৌবিভাগও তাদের বোট নিয়ে জনসাধারণের উদ্ধারে লেগে পড়েছে। বোটের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা সাধারণ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা হচ্ছে ও তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সিন্ধু প্রদেশের প্রধান আবহাওয়াবিদ সরদার সরফরাজ জানান,”প্রতিবছর জুলাই-আগস্ট মাসের বন্যায় পাকিস্তানে শয়েশয়ে লোক মারা যায়। তবে এবারের বন্যা ভয়ঙ্করতম। এর মূল কারণ প্রচুর বৃষ্টিপাত।”প্রায় ৯০ বছরের ব্যবধানে করাচিবাসী এই প্রথম এত ভারী মাত্রার বর্ষণের অভিজ্ঞতা লাভ করল। শুধু চলতি আগষ্ট মাসেই করাচি শহরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪৮৪ এমএম যা একটি রেকর্ড। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, আগামী দুইদিন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরো বাড়বে।