ফের একবার কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতকে খোঁচা দিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোগান। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অন্যান্য সকল দেশের সামনে ভারতের সরাসরি নাম না নিয়ে অনেকটা কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন,”কাশ্মীর এখন পর্যন্ত একটি জ্বলন্ত সমস্যা”।
এর আগে গত বছর কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বর্তমান ভারত সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। তারপর থেকেই ভারত সরকারের কুনজরে পড়েন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোর জন্য কূটনৈতিকভাবেই আগেই ভারত সরকারের তরফ থেকে ইস্তাম্বুলকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু কোনোরকম রাখঢাক না করেই তুর্কি প্রেসিডেন্ট ফের একবার কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতকে কটাক্ষ করলেন। তাও আবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সকল সদস্যের সামনে। তুরস্কের এরকম বিবৃতির পেছনে পাকিস্তানের স্পষ্ট ছাপ দেখতে পাচ্ছে নতুন দিল্লি। পাকিস্তানের উস্কানিতেই তুরস্ক এরকম ভারতবিরোধী বিবৃতি দিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার দীর্ঘ বক্তৃতায় জানান,”দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিরতার জন্য কাশ্মীর অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা সবসময়ই বাস্তবসম্মত আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে আগ্রহী। আর এই সমস্যার সমাধানে কাশ্মীরের জনগণের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আবশ্যিক”।
প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মুখে পাকিস্তানের স্পষ্ট ভাষা ফুটে উঠেছে বলে মনে করছে ভারত সরকার। কারণ পাকিস্তান সবসময় জাতিসংঘের নজরদারিতে কাশ্মীরের জনসাধারণকে দিয়ে একটি সাধারণ ভোটের ব্যাপারে আগ্রহী যাতে স্পষ্ট হবে কাশ্মীরের জনগণ ভারতের সাথে থাকতে চাই না পাকিস্তানের সাথে থাকতে চাই না তারা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে একটি আলাদা রাষ্ট্র কায়েম করতে চাই। পাকিস্তানের ঠিক এই মনোভাব টি যেন প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মুখে ফুটে উঠেছে। এদিকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এরদোগানের মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে অন্যান্য বারের মতো এবারও ভারত সরকার কাশ্মীরের ভোট প্রস্তাব নাকচ করে দেবে তা স্পষ্ট।