আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিনের অপেক্ষিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করলেন যেখানে বলা হচ্ছে এটি ইজরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘদিনের চলমান বিবাদের ইতি ঘটাবে। এই পরিকল্পনার মূল কারিগর হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনার যিনি জাতিগতভাবে একজন ইহুদি এবং ইসরাইলের নাগরিক।
এই শান্তি পরিকল্পনায় জেরুজালেমকে ইজরায়েলের স্বীকৃত অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে এবং ফিলিস্তিনকে সীমিত সার্বভৌমত্বের অধিকার দিয়ে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু কে পাশে নিয়ে এই শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, তিনি প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার নতুন ফিলিস্তিনে বিনিয়োগ করবেন যা ফিলিস্তিন পুনর্গঠনে সাহায্য করবে তবে আন্তর্জাতিক মহল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে প্রলোভন বলেই মনে করছে। এখানে উল্লেখ্য ট্রাম্পের এ ঘোষণার সময় তার পাশে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী থাকলেও সেখানে সেই সময় কোন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ছিলেন না তাই এ ঘোষণাকে শুরু থেকেই একপেশে হিসেবে ধরে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ট্রাম্পের একমুখী ঘোষণাকে ” বাঁটোয়ারা ষড়যন্ত্র” বলে অভিহিত করেন। তিনি আরো জানান”আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে জানিয়েছি জেরুজালেম বিক্রির জিনিস নয়, আমাদের অধিকার আমাদের সম্মান বিক্রির জন্য নয়, এমনকি দরকষাকষির জিনিসও নয় সুতরাং আপনাদের এই “বাঁটোয়ারা ষড়যন্ত্র” আমরা মেনে নিতে পারি না।”