নিজস্ব সংবাদদাতা, দিল্লী:- দেশের সীমানা নিয়ে মত পার্থক্যের কারণে চীনের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করেও কোন ফলপ্রসূ সমাধান না বের হওয়ায়, আগাম সর্তকতা হিসেবে ভারত সরকার শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল চীন সীমান্তে। খুব সম্প্রতি লাদাখে চীন সীমান্তের খুবই কাছে বিমান বিধ্বংসী শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে ভারত সরকার পক্ষ থেকে।
আসলে এটি একটি শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এটি আকাশ সীমায় শত্রুপক্ষের যেকোনো অস্ত্র বা মিসাইল কে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।বাইরে থেকে কোন বিমান অথবা মিসাইল এর আওতার মধ্যে আসলেই মুহুর্তেই তা ধ্বংস হয়ে যায়। ভারত মূলত চীনের যেকোনো আগ্রাসনকে আকাশেই রুখে দেওয়ার জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে এটি আমদানি করে। তবে ভারত সরকার শুধু এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করে ক্ষান্ত হয়নি, চীনকে উপযুক্ত জবাব দেয়ার জন্য সীমান্তে আগেভাগেই সুখোই ৩০, মিগ২৯, মিরাজ ২০০০ এর মত অধিক শক্তিশালী যুদ্ধ বিমান মোতায়েন রেখেছে।
এখানে উল্লেখ্য লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার পর ভারত ও চীনের সম্পর্ক একদম তলানিতে ঠেকে যায়। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য দুই পক্ষের তরফ থেকে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়। তবে চীনের একগুয়েমির জন্য কোন উপযুক্ত সমাধানে পৌঁছাতে দুই পক্ষই ব্যর্থ হয়। তাই এবার কিছুটা তিতবিরক্ত হয়ে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরেই বলেছেন,”এবার আলোচনা ব্যর্থ হলে, আমাদের সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর কোনো রাস্তা খোলা থাকবে না।”