নিজস্ব সংবাদদাতা টি নিউজ ওয়ার্ল্ড:-গতকাল দুপুরে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের জগাছা থানা এলাকার অধীনে মন্নাপুরাম গোল্ড লোনের পঞ্চাননতলা শাখায় একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বন্দুকের নিশানা করে প্রায় ২৫ কেজি সোনা লুট করে নেয় ৪ জন অপরাধী। নাকা তল্লাশির পর বর্ধমানের নবাবহাট মোড় থেকে লুট হওয়া সমস্ত সোনা উদ্ধার করা গেছে।
গতকাল দুপুর ২টো নাগাদ পঞ্চাননতলার মন্নাপুরাম গোল্ড লোন শাখা থেকে এই ঘটনার খবর যায় হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের জগাছা থানার ওসির কাছে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি উর্ধ্বতন অফিসারদের নজরে আনেন। জগাছা থানার পি.সি টিম যানবাহনের বিবরণ ও অপরাধীদের চিহ্নিত করতে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
সম্ভাব্য রুটে দুর্বৃত্তদের তল্লাশি করার জন্য কয়েকটি পুলিশ টিম গঠন করা হয়েছিল। এমনকি হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কার্যকর করা হয়।
আরও ভালোভাবে সহায়তার জন্য তৈরি করা হয় একটি আন্তঃজেলা হোয়াটস্যাপ গ্রুপ। পুলিশের দল রুট চিহ্নিত করে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে আসানসোল, এনএইচ সিক্স থেকে ঝাড়গ্রাম, এমনকি উত্তর চব্বিশ পরগনার নিবেদিতা টোল প্লাজা থেকে হাওড়া টাউন ছিল পুলিশের টার্গেট রুট। টিমের সাহায্যে একাধিক পয়েন্টে চলেছে নাকা তল্লাশি।
পূর্বপ্রাপ্ত বিবরণ অনুযায়ী অপরাধীদের শারীরিক বিবরণ এবং উচ্চারণ থেকে এটি বিহার বা ঝাড়খণ্ডের একটি গ্যাং বলে সন্দেহ করে পুলিশ। সেই অনুযায়ী জোর দেওয়া হয়েছিল মূলত দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। সেখানে নেতৃত্বে ছিলেন ডিসিপি সাউথ এবং জগাছার ওসি।
প্রয়োজনীয় সতর্কতা দেওয়া ছিল চন্দননগর, হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশকেও। ধীরে ধীরে অপরাধীদের যানবাহন সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়৷
পূর্ব বর্ধমানের এসপি, বীরভূমের এসপি এবং আসানসোলের সিপির সঙ্গে প্রত্যেক মুহূর্তে যোগাযোগ ছিল সিপি এইচপিসি’র (CP HPC)। পালসিট টোল প্লাজাকে টার্গেট করে পুলিশ। কিন্তু এখান থেকে অপরাধীরা কোনোভাবে পালিয়ে যায়।
এরপর পূর্ব বর্ধমান পুলিশের অধীনে নবাবহাট মোড়কে টার্গেট করা হয়। এই চত্বরের কাছেই সন্দেহভাজন একটি গাড়িকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু অপরাধীরা পুলিশের নজর এড়িয়ে দ্রুত চম্পট দেয়। তবে গাড়ি থেকে সমস্ত সোনা উদ্ধার করা সম্ভব হয়। পুলিশ জানিয়েছেন আমরা শীঘ্রই অপরাধীদের ধরে ফেলতে আত্মবিশ্বাসী।
সূত্র:- পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ফেসবুক পেজ।