নিজস্ব সংবাদ দাতা টি নিউজ ওয়ার্ল্ড:-প্রথম থেকেই পশ্চিমবঙ্গে মমতা সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে। এবং তার অগ্রভাগে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাদের বক্তব্য ছিল স্বাস্থ্যসাথীর থেকে আরো অনেক উপযোগী প্রকল্প কেন্দ্রের মোদি সরকারের আয়ুষ্মান ভারত। কিন্তু সেই প্রকল্প বাদ দিয়ে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প কেন্দ্রের বিরোধিতায় নেহাত লোক দেখানো প্রকল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু এবার দুয়ারে সরকার প্রকল্পের অধীনে দিলীপ ঘোষের পরিবারের লোকজনদের লাইন দিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সংগ্রহ করতে দেখা গেল, যা নিয়ে মাতামাতি হল সংবাদমাধ্যমে। তৃণমূলের কটাক্ষের শিকার হতে হল রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তারপরে এই ব্যাপারে সুর নরম দিলীপ ঘোষের।
এবার তিনি জানালেন, “আমি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর বিরোধী নই বরং সুযোগ পেলে আমিও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করব। তবে যদি এর প্রয়োগ না থাকে তাহলে এটার উপকারিতা কি? স্বাস্থ্য সাথী কার্ড মাথায় দিয়ে ঘুমালে কি জ্বর কমবে।”
উল্লেখ্য, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের আদি বাড়ি ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা গ্রামে। এখনও তার মা, ভাই-সহ পরিবারের সদস্যরা সেখানেই থাকেন। ভাই হীরক ঘোষ গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। খুড়তুতো ভাই সুকেশ ঘোষ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি। তাই স্বাভাবিকভাবেই দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি তাঁর ভাইদের গলায়ও সর্বদাই শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী সুর। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রসঙ্গেও বারবার রাজ্যকে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। এসবের মাঝেই সম্প্রতি যেখানে গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি তোলা হচ্ছে, সেখানে দেখা যায় হীরক ঘোষের স্ত্রী-সহ পরিবারের বেশ কয়েকজনকে। স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গবিজেপির প্রথম সারির নেতার পরিবারের সদস্যদের এই কার্ডের লাইনে নজরে পড়তেই নানারকম আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের তরফে সরাসরি আক্রমণ করা হচ্ছে দিলীপ ঘোষকেও। এবিষয়ে হীরক ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী ও বাকি সদস্যরা কবে গিয়েছিলেন তা তাঁর জানা ছিল না। কারণ, তিনি গ্রামে ছিলেন না। তবে এবিষয়ে এখনও সুকেশ ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।