নিজস্ব সংবাদ দাতা ; টি নিউজ ওয়ার্ল্ড :-
গতকাল ১৩ জানুয়ারী বুধবার মেটিয়াব্রুজ থানার অপজিটে গার্ডেনরীচ শিপ বিল্ডার্স কারখানার গেটের সম্মুখে ডি আই ওয়াই এফ এর কর্মচারী সংগঠনের বিভিন্ন দাবী নিয়ে ছিল এক সভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ এবং ডি আই ওয়াই এফ এর প্রাক্তন সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সর্বনাশা কর্মসূচীর তীব্র সমালোচনা করে বলেন; হক আদায় করতে গেলে ধক লাগে। তা আজ দেখিয়ে দিয়েছে দেশের কৃষকরা। যেভাবে তারা দিনেরপর দিন কনকনে ঠান্ডায় বসে হক আদায়ের আন্দোলন করে চলেছে তাদের এই আন্দোলনের সম্মুখে কেন্দ্রীয় সরকার পরাজয় স্বীকার করছে। অনুরূপই আগামী ১১ ফেব্রুয়ারী রাজ্যবাসীর হক আদায়ের জন্য ধক দেখাতে নবান্ন অভিযানে সকলকে অংশগ্রহণ করতে হবে। কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করার দাবি নিয়ে সেদিন রাজপথের দখল নেবে লাল-সাদা পতাকা। তিনি বলেন; নির্বাচনের আগে পুলওয়ামা বালাকোটের সাজানো ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধের জিগির তুলেছিল বিজেপী।তঝন সংঘাতের কেন্দ্র ছিল ভারত-পাক সিমান্ত। আর এখন নির্বাচন মিটে যাবার পর দেশের অভ্যন্তরীন সীমাগুলি থেকে সংঘাতের খবর আসছে। সিঙ্ঘু টিকরির মত রাজ্য সিমান্তে দেশের অন্নদাতাদের আটকে রাখতে চায়ছে কেন্দ্রীয় সরকার। মানুষ তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা হতে বুঝে নিয়েছে তাদের নোংরা রাজনীতি; কিভাবে দেশের খেটে খাওয়া মানুষদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। পাশাপাশি তিনি রাজ্য সরকারেরও বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে বলেন যে; এরাজ্যে আর.এস এস বাড়বাড়ন্ত কাদের সময়ে হয়েছে সেটা রাজ্যবাসী জেনে গিয়েছে। মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী সেটা স্বীকারও করেছে যে; গত দশ বছর হতে ওরা আর.এস.এসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। তাই বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লড়াকু বামফ্রন্ট কে শক্তিশালী করতে হবে। এদিন সভায় আরো যারা বক্তব্য করেন তারা হলেন সামসুল হক; বিকাশ ঝাঁ; পোর্ট ট্রাস্ট শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব ধীমান ঘোষ; সৈকত ব্যানার্জী ও ধ্রুবজ্যোতি চক্রবর্তী।