নিজস্ব সংবাদদাতা টি নিউজ ওয়ার্ল্ড: নলহাটি ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা বাগদাদ শেখ ও রিজিয়া সুলতানা নিঃসন্তান দম্পতির গত ১২ বছর পূর্বে রামপুরহাট জংশনের নিকটে একটি মেয়ে সন্তানকে পড়ে থাকতে দেখতে পান।
তারা তাকে অসহায় অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের অন্তরে ভালোবাসার সৃষ্টি হয় এবং তারা তাকে নিজের কাছে রেখে লালন-পালন করতে থাকেন।
যখন বাচ্চাটি তারা পায় তখন তারা তাকে জখম অবস্থায় পেয়েছিল। স্থানীয়দের কথায় তার মা তাকে রেখে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় মেয়েটির বয়স ছিল মাত্র এক বছর। বর্তমানে সে হালকা শুনতে এবং বলতে পারে।
নিঃসন্তান দম্পতি জানান যে, বিগত ১২ বছর ধরে তারা অতি কষ্টে তাকে লালনপালন করেছেন মানবতার স্বার্থে । মা হাসিনা বিবি জানান,ইশ্বর আমাকে নিঃসন্তান দম্পতি থেকে বাচ্চা দিয়ে কৃপা করেছেন। এই বাচ্চাটিকে পেয়ে তিনি খুবই আনন্দিত হয়ে লালন পালন করতে থাকেন।
তাঁর স্বামী বাগদাদ সেখ সুগারে আক্রান্ত এবং কানে কম শোনেন।
খুবই দরিদ্র পরিবার সামান্য কিছু কাপড় বিক্রি করে তারা নিজের জীবন অতিবাহিত করেন। তাঁরা একটি ছোট্ট ঘরে জীবন যাপন করতেন।
কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস বিগত দুই মাস আগে ঘরের ভিতরে প্রতিবন্ধী বাচ্চাটি প্রদীপের আগুনে পুড়ে যায়।
টাকা পয়সার অভাবে তারা তার সঠিক চিকিৎসা করতে পারেননি।
দীর্ঘ দু’মাস পরে এক সমাজসেবীর সন্ধান পান। সেই ব্যক্তি মাসজিদুস সালামের কমিটির সাথে যোগাযোগ করে সেই বাচ্চার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
নলহাটী কলেজ মোড় সংলগ্ন মাসজিদুস সালাম এর পাশে দাঁড়িয়েছে।
নলহাটীর থানার জেনিথ স্কুলের মালিক মহঃ সামীম সেই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং সকল মানবতাবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিও তিনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এমনকি ওই অসহায় নিঃস্ব দম্পতির পাশে দাঁড়ানোর জন্য মাসজিদ উস সালাম কমিটি সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এই নম্বরে 8642943942 গুগল পে তে সাহায্য পাঠিয়ে মানবতার পুনর্জাগরণ ঘটানোর অনুরোধ জানিয়েছেন সেই কমিটি।
মাসজিদুস সালাম নলহাটির যুবক বৃন্দরা সেই পিড়ীতাকে রামপুরহাটে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেছেন।