নিজস্ব প্রতিবেদন ; নিউজ ওয়ার্ল্ডঃ-দেখতে দেখতে এসে হাজির গ্রীষ্ম কাল। গরমের আবহাওয়া আমাদের সামনে। বাড়ছে দিনের পর দিন গরমের তাপমাত্রা । এটা খুব একটা আরামদায়ক নয় বাড়িতে এসি ফ্রিজ ইত্যাদি সামগ্রী থাকার পরেও যেমন স্বস্তি পাওয়া যায় না । প্রকৃতির এই আবহাওয়ার ওপর আপনার হাত না থাকলেও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন স্বস্তি।
প্রতিদিন কিছু নীতিমালার উপরে চললেই আপনি পেতে পারেন স্বাভাবিক স্বস্তি জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গরমকালে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। আসুন, আমরা সেসব খাবার সম্পর্কে জেনে নেবো —
অ্যালকোহল –
অনেকে গরমকালে বরফ দিয়ে অ্যালকোহল পান করে স্বস্তির জন্য। জেনো সে স্বস্তি পায় কিন্তু আদৌ এতে স্বস্তি পাওয়া সম্ভব নয় কিন্তু মনে রাখা দরকার, শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করে অ্যালকোহল। গরমকালে অ্যালকোহলের কারণে ডিহাইড্রেশন হতে পারে, কমতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এর সঙ্গে নানা রোগ হতে পারে। তাই গরমকালে অ্যালকোহল পরিত্যাগ করা উচিত। এছারা সর্বদা মদ ত্যাগ করা উচিৎ যেহেতু মদ মানুষের মস্তিস্ককে বিকৃত করে এবং আরো শরীরে অনেক রোগ তৈরি করে।
উষ্ণ পানী ও ঠাণ্ডা পানি –
বেশির ভাগ মানুষ দিন শুরু করে কফি বা চা দিয়ে। অল্প গরম লাগলেই ঠাণ্ডা ফ্রিজের পানি পান করা টা আমাদের গরমকালের অভ্যাস । যদিও এই অভ্যাস আপনাকে স্বস্তি এনে দেয়, তবে গরমকালে নিয়মিত কপি ও চা পান শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় এর সাথে ফ্রিজের পানি খুব ক্ষতি করে
ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। এ সময় গ্রিন টি বা আইসড কফি খেতে পারেন।
তৈলাক্ত খাবার –
তৈলাক্ত অয়েলি ও জাঙ্ক ফুড, চর্বি জাতীয় ফুড ,চর্বি জাতীয় খাবার যেমন অতিরিক্ত ভাজা খাবার অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত। এটি শুধু গ্রীষ্মকালেই নয়, সব ঋতুতে ক্ষতিকর। তৈলাক্ত খাবার গরমকালে খেলে তা শরীরের তাপমাত্রা বাড়াবে এবং ইমিউনিটি কমাবে। আর ইমিউনিটি তো বুজতেই কতো বেশি প্রয়োজন আমাদের শরীরে।
গ্রিলড মিট (তন্দুরি)
অনেকে গ্রীষ্মকালে ছাদে বারবিকিউ নাইট উদযাপন করে। যা হোক, গ্রিলড মিট উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা হয়। যেখানে বাইরের আবহাওয়া উষ্ণ, সেখানে এমন খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এটি শরীরের তাপমাত্রা বাড়াবে। এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি করে। তাই এই সব খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে
সসেস (প্রক্রিয়াজাত খাবার)
অধিকাংশ সস ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে অতি মাত্রায় লবণ, প্রিজারভেটিভ ও কৃত্রিম ফ্লেভার যেমন মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট থাকে। যদি এসব নিয়মিত খান, তবে আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়বে। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আসন্ন দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তাই খাদ্যাভ্যাসে বদল আনা জরুরি। ফল ও শাকসবজি শরীরকে শীতল করে।
তাই আসুন অল্প স্বাভাবিক খাবার খেয়ে খাবার নষ্ট না করে রুটিং মোতাবেক চলার চেষ্টা করবো।