চার জন প্রান হারালেন বিধাসভা ভোট কে কেন্দ্র করে

0
Spread the love

চার জন প্রান হারালেনবিধাসভা ভোট কে কেন্দ্র করে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর নেপথ্যে কাহিনী

অনিতেশ চক্রবর্তী

১। শীতলকুচির ওই বুথে নাকি ‘আত্মরক্ষার্থে’ গুলি চালিয়েছে সিআরপিএফ। তার মানে বাহিনী আক্রান্ত হয়েছিল। আক্রমণকারীরা কি সশস্ত্র ছিল? এখনো অবধি তেমন কোনো খবর নেই (পরে তৈরি হতেও পারে অবশ্য)। তাহলে গুলি চালাতে হল কেন? যদি আক্রমণকারীরা সশস্ত্র হয়ে থাকে, তাহলে সেই অস্ত্রে কেউ কি ঘায়েল হয়েছে? আক্রমণ তো আঘাতের চিহ্নেই প্রমাণ রেখে যায়, তাই না?

২। গুলি তো শূন্যেও চালানো যায়, তাতেই প্রাণভয়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ত। তাহলে মানুষদের শরীর তাক করে গুলি ছুঁড়তে হল কেন?

৩। ৪ জনের মৃত্যু (শোনা যাচ্ছে অন্তত ৮জন আহত) মানে কম করেও ১০-১২ রাউন্ড গুলি চলেছে। ভয়ঙ্কর হিংস্র আক্রমণ না হলে এমনভাবে গুলি চলে? এমন ভয়ঙ্কর আক্রমণ হল বাহিনীর ওপর, অথচ স্থানীয়রা সে-কথা বলছেন না! আশ্চর্য!

৪। যাঁরা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন, তাঁরা কি সবাই বিক্ষোভকারী? এখনো অবধি পাওয়া খবরে, তাঁদের মধ্যে অন্তত ৩জন ‘সাধারণ ভোটার’। ভাবুন, বাহিনীকে ঘিরে ফেলেছে হিংস্র মব। তাঁদের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে গুলি ছুঁড়ছে বাহিনী। অথচ গুলি লেগে মারা যাচ্ছেন সেই ঘিরে ফেলা বিক্ষোভকারীদের থেকে খানিকটা দূরে দাঁড়ানো সাধারণ ভোটার। কে জানে!

৫। ট্রেইনড জওয়ান, হাতে অ্যাসল্ট রাইফেল। তাঁরা জানেন কীভাবে বিক্ষোভ ঠেকাতে হয়। তাঁদের ঘিরে ফেলতে কম করেও ৬০-৭০ জন সশস্ত্র মানুষ লাগেই। যদি বাস্তবে সেটাই ঘটে থাকে, তাহলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর জায়গায় গেছিল। অথচ মিডিয়া বা সাধারণ মানুষ, কেউই ঠিক সেই পরিস্থিতির কথা বলতে পারছেন না। তাহলে কী এমন হল যে বাহিনী ‘বাধ্য হল’ গুলি চালাতে?

৬। যাঁরা মারা গেলেন, তাঁদের নাম কী? পরিচয় কী? ওই বুথের চরিত্র কী? এগুলোও জানার খুব প্রয়োজন। খুব…

এই রাজ্যে আগেও পুলিশের গুলিতে মানুষ মারা গেছেন, পুলিশের লাঠির আঘাতেও কদিন আগে মারা গেছেন একজন বাম-সমর্থক। রাষ্ট্রের হাতে রক্ত লেগেই থাকে বারবার। কিন্তু ৮ জন গুলিবিদ্ধ, ৪ জনের মৃত্যু– এইটা খুব স্বাভাবিক ও সাদামাটা ঘটনা নয়। নিছক ‘আত্মরক্ষা’-র জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেও মনে হয় না। এটা হয়তো একটা স্টেটমেন্ট, যা এই দফা-সহ বাকি দফার ভোটে কাজে লাগবে। আর, এমন বেনজির ঘটনা নিয়ে যতটা উত্তাল হওয়া উচিত, টেলিভিশন মিডিয়া তার সামান্যও উত্তাল নয়। অন্তত বাহিনীর ওপর আক্রমণ নিয়েও তো প্রচার চলতে পারত। কিন্তু সেভাবে নামছে না। কারণ, সেই ‘আক্রমণ’ প্রতিষ্ঠা করা চাপ। উলটে প্রচারে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই চেষ্টা চলছে এই ঘটনাকে খবরের ভিড়ে একটা খবর-মাত্র করে রাখার। চেষ্টা চলছে আমাদের অভ্যস্ত করার। যেভাবে চলে আর কী!

অঙ্কগুলো মিলিয়ে দেখলে যা বেরোচ্ছে, তা বেশ ভয়ের। এই নির্বাচন শুধুমাত্র একটা বিধানসভা নির্বাচন থাকছে না। উত্তাল প্রতিবাদ ছাড়া আর কোনো পথ আছে কি?

আমার মতামত একটু যোগ করছি এখানে :

ভয় এর পরিবেশ তৈরী করতেই এই পদক্ষেপ।। মানুষের বলি দিয়ে জনগণকে বোকা বানানো। সেন্ট্রাল ফোর্স দিয়ে বন্দুকের নল দেখিয়ে বিজেপি কে ভোট দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা ও হতে পারে।।

দুধ সংক্রান্ত তিনটি হারিয়ে যাওয়া সুন্নত

Peace Honey (Cream)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here