নিজস্ব সংবাদদাতা; টি নিউজ ওয়ার্ল্ডঃ-মোদি আমলে ভয়ঙ্কর তথ্য । দয়াকরে সকল সত্যের সন্ধানী সম্পন্ন মানুষরা, এটা পড়বেন এবং ইচ্ছে হলে প্রচুর শেয়ার করতে পারেন ;
বিজেপি মোদি সরকারের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি পালন করেছে। কিন্তু এই ৬ বছরে তারা কী কী অসাধারণ কাজ করেছে ভারতের নাম উঁচু করার জন্য দেখা যাক।
ভারত ৪৫ বছরের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বেকারির মধ্যে পড়েছে (তথ্য—এনএসএসও)।
পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত তিরিশটার মধ্যে বাইশটা শহর ভারতে (তথ্য—হু)।
গত তিরিশ বছরের মধ্যে এই ৬ বছরে সবচেয়ে বেশি সেনা শহীদ হয়েছে।
ভারতে ৮০ বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য শিখরে ( ক্রেডিট সুইজ্চ রিপোর্ট)।
মহিলাদের বসবাসের পক্ষে ভারত এই মূহুর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ(থমাস রেউটার সার্ভে)।
২০০০ সালের পর সর্বনিম্ন জিডিপি।
দশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাশ্মিরী তরুণ টেররিস্ট হয়েছে এবার (ইন্ডিয়ান আর্মি ডাটা)।
ভারতের ব্যাঙ্কগুলো ৬৬০০০০ কোটি টাকা ব্যাড লোন বা এনপিএ-র ধাক্কায় বিপর্যস্ত মোদি সরকারের সময়ে।
৯) ২৩% বেড়েছে দারিদ্র্য।
ইউনাইটেড কমিশন অন ইন্টার্নেশনাল রেলিজিয়াস ফ্রিডম ভারতকে দুশ্চিন্তাজনক দেশের শ্রেণীতে ফেলেছে।
ভারতের কৃষকরা ১৮ বছরের ভেতর সবচেয়ে কম শস্যের মূল্য পেল (ডাব্লু.পি.আই ডাটা)।
গরু সম্পর্কিত হিংসা ও মব লিঞ্চিংয়ে মোদি সরকার রেকর্ড করেছে (ইন্ডিয়া স্পেন্ড ডাটা)।
সম্পদের বিচারে ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় বৈষম্যমূলক দেশ(গ্লোবাল ওয়ীল্থ রিপোর্ট )।
ভারতীয় মুদ্রা এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে নীচে।( ডাটা মার্কেট)
পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে ভারত পৃথিবীর তৃতীয় খারাপ দেশ (এ.পি.আই ২০১৮)।
ফরেন ফান্ডিং ও দূর্নীতিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ভারতের ইতিহাসে প্রথম।(ফাইনান্স বিল ২০১৭)
৬ বছরে আমাদের প্রধানমনম্ত্রী একটাও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি। ৭০ বছরে এমন ঘটেনি। পিএম-য়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।
ভারত বিদেশের সঙ্গে যুদ্ধে না পারলেও দেশে বড় বড় যুদ্ধ করেছে। সি.বি.আয় বনাম সি.বি.আই, আর.বি.আই বনাম গভার্মেন্ট এস সি বনাম গভার্মেন্ট। কারণ মোদিজী সমস্ত গণতান্ত্রিক সংস্থাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান ”ডেমোক্রেসি ইজ ইন ডেঞ্জার”। ভারতের ইতিহাসে প্রথম।
প্রতিরক্ষা দপ্তর থেকে টপ সিক্রেট ডকুমেন্ট গায়েব হয়েছে। এই প্রথম।
ধর্মীয় উন্মদনা ও হিংসা ৭০ বছরের মধ্যে শীর্ষে।
ভারতের মিডিয়া ৭০ বছরের মধ্যে সর্বনি্ম্ন বিশ্বাসযোগ্যতায় পৌঁছেছে।
গ্লেবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা অনাহারের সূচকে ভারত ১১৭ দেশের মধ্যে ১০২ নম্বর স্থানে রয়েছে।এমনকি পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর নেপালও ভারতের ওপরে আছে।গ্লোবাল হ্যাঙ্গার রিপোর্ট ২০১৯)
জাতীয় অপরাধ বোর্ডের রিপোর্ট আসতে সবচেয়ে দেরী হয়। ২০১৭ সালের রিপোর্ট কিছুদিন আগে প্রকাশিত হয়। ফলে বিচার কী হয় বোঝাই যায়।
আই এম এফ সরকারের তথ্য ও তা প্রকাশের ধরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তার বিলম্ব নিয়েও দুশ্চিন্তা জানিয়েছে। ট্যাক্স রেভেনিউয়ের সম্ভাব্য পরিমাণ ও জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে। কিছুই তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য লাগছে না। ভবিষ্যতে অন্য সরকার এলে তারাও বিপদে পড়বে।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও রাজনীতির অপরাধীকরণ দেশের ইমেজ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভয়াবহ। পূর্ব বিজেপি এমএলএ কুলদীপ সিঙ্গার, বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দর কেস তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।মালেগাঁও বোমা মামলার অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুর এখন এমপি এবং, হাস্যকর হল তিনি প্রতিরক্ষার প্যানেলে আছেন। অভিযুক্ত উগ্রপন্থী দেশরক্ষার সিদ্ধান্ত নেবেন, ভারত ছাড়া এমন কোথাও নেই। ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে বিজেপি অপরাধীদের থেকে বিপুল টাকা নিয়েছে। লোকে কী বলবে তা নিয়ে ভাবে না। আর.কে.ডাবলু, ডেভেলপার্স এল.টি.ডি’ থেকে নেয় ১০ কোটি টাকা। তাদের বিরুদ্ধে টেরর ফান্ডিংয়ের তদন্ত করছে ইডি। এটা বিজেপিই ইলেকশান কমিশনকে জানায়।
ইলেকশান কমিশনের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব আর নেই। ৩৪৭ সিটের প্রার্থীর ক্ষেত্রে তারা নির্লজ্জের মত পক্ষপাতিত্ব করেছেন। একমাত্র অশোক লাভাসা আপত্তি করায় এখন তার ও তার পরিবারের ওপর সরকারী অত্যাচার চলছে।
২০১৯-এর মার্চে ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ইনডেক্স প্রকাশ করে।দেশের মানুষ কত ভাল আছে এবং সরকার কেমন শাসন করছে তা বোঝা যায় যাতে। তাতে মোদিজী সরকারের পতন অভূতপূর্ব। দেশের মানুষ ও দেশ এত কষ্টে কখনও থাকেনি। ছটি সূচকের ভিত্তিতে সামুহিক সুখের বিচার হয়। পার ক্যাপিটা জিডিপি, সুস্থ জীবন ও গড় আয়ু, জীবনে নিজের পছন্দ বাছার স্বাধীনতা, সমাজের পাশে থাকা বা নিঃস্বার্থ সাহায্য করা ও পাওয়া, উদারতা ও দূর্নীতি বিষয়ে ধারণা।
এই সব ধরে ১৫৩ দেশের মধ্যে মোদির ভারত ১৪০ নম্বর হয়। ২০১৩ সালে ছিল ১১৭ নম্বরে। মানুষের সর্বনাশ করায় মোদিজীর এটা সেরা কীর্তি বলতে পারেন। যে পাকিস্তানের ভরসায় মোদিজীর অস্তিত্বের অনেকটা টিকে আছে তারা আছে ৬৭ নম্বরে। আমাদের দ্বিগুণের বেশি সুখে। আর, আমাদের জীবন থেকে চাকরি, স্বাধীনতা ও আনন্দ সব নিয়ে গেছে সরকার।
১০,০০০,০০০,০০০,০০০ টাকা। প্রায় দশ ট্রিলিয়ন টাকা।এই ২৮ জনের মধ্যে শুধুমাত্র বিজয় মালিয়া ছাড়া বাকি
সবাই গুজরাটি।
এদেরই লুঠ করা সম্পদে যখন দেশ সর্বস্বান্ত। তখনি নজর পড়লো লাভজনক রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থার উপর।👇
দিনের পর দিন পেট্রোল▪️ ডিজেল▪️ রান্নার গ্যাস▪️নিত্যপন্য দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি হতে লাগলো।
এই মুনাফালোভী কুচক্রী দেশের শত্রুদের লোকসান সামলাতে এল আই সি- বি এস এন এল▪️বিমান পরিবহণ▪️রেল ▪️- এর মত সংস্থাগুলো বেসরকারিকরন হতে লাগলো।এবার নজর পড়েছে দেশের কৃষিজমি ও কৃষিজাত পন্যর দিকে।
আজকে যারা বিজেপির মতো দলকে জামাই আদর করে এই আসামে আবার ডেকে আনতে চাইছেন। এই লুটেরার দল যদি আরেকবার আসামের মসনদে বসে তাহলে আসামকে আবার কী করবে তা একটু ভাবেন।
আজকে যারা বিজেপির মতো দলকে জামাই আদর করে এই বাংলায় ডেকে আনতে চাইছেন। এই লুটেরার দল যদি বাংলার মসনদে বসে তাহলে আসাম, ত্রিপুরা এবং বিজেপি শাসিত ইউ.পি. ইত্যাদি রাজ্যের মত এই বাংলার হাল কী করবে তা একটু ভাবেন।
১৯৪৩ – এ এদেরই কৃত্রিম ভাবে সৃষ্টি করা দুর্ভিক্ষে না খেয়ে ৬০ লক্ষ বাঙালী মরেছিল।
এইবার কি হবে কে জানে!
১৯৪৩ এ তবুও ফ্যান দাও-ফ্যান দাও এর হাহাকারে একটু ফ্যান পাওয়া গেছিল। এবার তাও জুটবে না। কারণ শস্যভাণ্ডার তুলে দেওয়া হচ্ছে আম্বানি, আদানি ,কর্পোরেটের হতে। চাষির কাছ থেকে জলের দরে ফসল কিনে গুদামজাত করা আছে, বাজারে দাম বাড়িয়ে বেচা হবে। আইন করে এই জর্জ,
যারা এখনো আচ্ছে দিনের স্বপ্নে মশগুল হয়ে এই অপশক্তিকে জামাই আদর করে ডেকে আনতে চাইছেন তারা দয়া করে একটিবার ভাবুন।
অন্তত নিজের পরিবারের জন্য ভাবা অভ্যাস করুন।