পপুলার ফ্রন্ট উত্তর প্রদেশ পুলিশের নৃশংসতা ও সীমা লঙ্ঘনের শিকারদের সহযোগিতা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ

0
Spread the love

পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া জাতীয় কার্যনির্বা কাউন্সিলের সভায় গৃহীত একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে,সংগঠন উত্তরপ্রদেশে পুলিশি অত্যাচার ও সীমালঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিদের আইনি ও গণতান্ত্রিক উপায়ে সহায়তা দেবে।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যে স্বৈরাচারী শাসন নীতি প্রয়োগ করছে,যেখানেই ডানপন্থী হিন্দুত্ববাদী ধর্মান্ধ ও গৌরব দলগুলি মুসলিম ও দলিতদের পিটিয়ে হত্যা ও নির্যাতনের জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা ভোগ করছে।বিচারবহির্ভূত হত্যা, বেআইনি গ্রেফতার এবং নিরপরাধ ঈদের হয়রানির ঘটনা উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।রাজ্যে বৈষম্যমূলক সি এল এবং এনআরসি বিরুদ্ধে জনপ্রিয় আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্য সরকার কর্তৃক এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নেতাকর্মী ছাত্রনেতা এবং নিরীহ লোকদের বিরুদ্ধে একটি জঘন্য প্রতিশোধ অভিযান শুরু করেছে।নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের জন্য করুনা পরবর্তী অবস্থার অপব্যবহার করা হচ্ছে। ইউপি পুলিশের নিয়মিত হয়রানিরশিকার পপুলার ফ্রন্ট স্টেট এডহক কমিটির সদস্য মুফতি মোহাম্মদ শাহজাদ তাকে গ্রেপ্তার করে কয়েক সপ্তাহের জন্য কারা গাড়ি আটকানো হয়েছিল শুধুমাত্র এই কারণে যে তিনি এই বছরের প্রথমদিকে উত্তরপ্রদেশে সিএএ/এনআরসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন ঘটে যাওয়া সহিংসতা তদন্তের জন্য হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। তারপর থেকে পুলিশ তাকে এবং তার পরিবারকে হয়রানি করে আসছে। শর্জিল ওসমানী এই জাতীয় হয়রানির সাম্প্রতিক স্বীকার। তাকে পুলিশ দাবি করে 5 জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।ইউপি পুলিশ এখনো তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলতে পারেনি এবং তার অবস্থান এখনো অজানা।

ইউপি পুলিশ বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন ভাংচুরের নামে জনগণের সম্পত্তি হাতাতে শুরু করেছে, এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও। রাজ্য মন্ত্রিসভা এই ধরনের অত্যাচারী ব্যবস্থা সমর্থন করার জন্য কঠোর আইন প্রস্তুত করে। এই জাতীয় গণতান্ত্রবিরোধী এবং হিংসাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জহিরুল ইসলাম বিরোধিতার শেষ প্রান্তটি ও মুছে দিতে চাইছে। রাজ্যের বিরোধী দলগুলি অদক্ষ ও অচল হয়ে পড়েছে।

পপুলার ফ্রন্ট এর এনইসি রনর দৃষ্টিভঙ্গি যে, গণতান্ত্রিক কণ্ঠস্বর কে এই নিষ্ঠুর উপায় মারা যেতে দেওয়া উচিত নয় এবং পরিস্থিতির দাবি হলো নতুন রাজনীতির উত্থান দাবিয়ে রাখা যাবে না, আর না তাকে নীরব করা যাবে।সংগঠন উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের সকল ধরনের আইনি ও গণতান্ত্রিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here