নিজস্ব সংবাদদাতা ;টি নিউজ ওয়ার্ল্ড:-শীতলকুচি নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে উঠেছে বিতর্কের ঢেউ। এবার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য BJP সভাপতির গ্রেফতারির দাবি জানালেন সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরুন্ধতী ওরফে লাভলি মৈত্র। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের বিরুদ্ধে কার্যত ফুসে উঠেছেন এই অভিনেত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে কেন্দ্র এইভাবে চারজন নিরীহ মানুষের প্রাণ কাড়ল। তার পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ যে মন্তব্য করেছেন, সেজন্য জন্য অবিলম্বে তাঁকে গ্রেফতার করা উচিত।’
প্রসঙ্গত. রবিবার বরানগরের সভা থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, ”শীতলকুচি কী দেখেছেন! এরপর বেশি বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।’ তাঁর এই মন্তব্য সামনে আসার পরেই উঠেছে নিন্দার ঝড়। এদিন শীতলকুচির ঘটনার প্রতিবাদে সোনারপুর মোড় থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। কালো ব্যাচ পরে মুখে কালো কাপড় লাগিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। লাভলি এদিন বলেন, ‘দিলীর ঘোষ এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে খুনের হুমকি দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হল না, প্রশ্ন তোলেন এই অভিনেত্রী।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘২ মের পর মানুষ ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে হিসেব বুঝে নেবে।’
উল্লেখ্য,রবিবার বরানগরে BJP প্রার্থী পার্নো মিত্রের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, ‘বাংলায় আর দুষ্টু ছেলে থাকবে না। যারা ভেবেছিল কেন্দ্রীয়বাহিনীর বন্দুকটা শুধু দেখানোর জন্যই, কাল তারা বুঝে গেছে ওর ভিতরে থাকা গুলির কী জোর!’ তিনি আরও বলেন, ‘সকালে ভোট দিতে যাবেন। কেউ যদি বাধা দেয় শুনবেন না। মাথায় রাখবেন কেউ বাড়বাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।’
BJP-র রাজ্য সভাপতির মুখে এই কথায় রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত, শনিবার ভোট শুরু হতেই শীতলকুচির পাঠানটুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৮ বছরের এক যুবকের। বেলা গড়াতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এরপর উত্তেজনা ছড়ায় জোরপাটকি এলাকায়। ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এলোপাথারি গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আরও চারজনের। নির্বাচন কমিশন জানায় CAPF জওয়ানদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। মৃতেরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সমর্থক বলে খবর। গোটা ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।