ঈদুল ফিতর ও আম্ফান সাইক্লোন

0
Spread the love

বিশ্ব জুড়ে করোনা মহামারীর ফলে বিভিন্ন দেশসহ আমাদের ভারতবর্ষে জারী হয়েছে লগডাউ। সেই লগডাউনের জেরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বহু লোকের একত্রিত জমায়েত। আর এরই মধ্যে চলে এলো পবিত্র রমাযান; যাতে ধর্মপ্রাণ মুসলিমগণ মাসজিদে একত্রিত হয়ে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও রাতে তারাবীহ নামায আদায় করে থাকে। কিন্তু লগডাউনের ফলে মাসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও জুম’আর নামাযও পড়া নিষিদ্ধ হয়ে আছে। তাই মুসলিম নেতৃবৃন্দ মুসলিমদেরকে বাড়িতে থেকেই পাঁচ ওয়াক্ত নামায; জুম’আর পরিবর্তে বাড়িতে যোহর আদায় করার এবং রমাযানের রাতের তারাবীহও বাড়িতে আদায় করার আবেদন করেন। এমতাবস্থায় রমাযানের আনন্দ কিছুটা হলেও ম্লান হয়ে পড়িছিল। এই অবস্থায় আবার গত ২০ তারিখে চলে এলো সুপার সাইক্লোন “আম্ফান”; যার জেরে উড়ে গেল অসংখ্য মানুষের ঘরের ছাদ; উপড়ে পড়ল গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি এবং ট্রানৃসফরমা। ফলে বিশেষ করে দুই চব্বিশ পরগণা জেলার মানুষের জীবনে নেমে এলো আরো একটা সঙ্কট। এমনিতেই লগডাউনের জন্য রোজ আনি রোজ খায় লোকেদের রোজগারের অভাবে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল তার উপরে ঘুর্ণি ঝড় আম্ফানের তান্ডব এসে যেন মানুষের শিরদাঁড়াকে ভেঙে দিলো। আর এই পরিস্থিতিতে চলে খুশির ঈদুল ফিতর। ২০২০’র এই রমাযান ও ঈদ মনে হয় আগামী প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ এই প্রথম ঈদ উদযাপন হলো এমন সময় যখন ঝড়ের দাপটে বিদ্যুতের খুঁটি ও ট্রান্সফরমা উপড়ে পড়াতে দুই ২৪ পরগণার ৯৫% স্থানে বিদ্যুৎ নেই। অন্ধকারেই উদযাপিত হল খুশির ঈদ। ঘর আছে; কিন্তু ছাদ নেই; আবার কারো আবার ঘরটাও নেই। এত কিছুর পরেও মানুষ কিন্তু ঈদ উদযাপন করছে কোনরকমে তিরপল বা প্লাসটিক দিয়ে ঘরের দেওয়াল ও ছাদ বানিয়ে। অবশ্য এমতাবস্থায় প্রসংশনীয় ব্যাপার যেটা লক্ষ করা গেছে সেটা হলো বিভিন্ন সংগঠন ও কিছু ধনবান ব্যক্তিরা লগডাউনের পর ও এই ঝড়ের পর যথাসাধ্যভাবে অভাবী ও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। যার জন্য নূতন পোষাকে না হলেও কিছু মিষ্ঠান্ন তৈরী করে বাড়িতে বাড়িতে উদযাপিত হচ্ছে খুশির ঈদ।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here