ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের মাঝেই চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে আজকেই এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে পুনরায় একদফা লকডাউন ঘোষণা করল আগামী ৩০শে জুন পর্যন্ত। তবে তা একমাত্র লাগু হবে কনটেনমেন্ট জোনে। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন সাধারণ মানুষ।
বাকি জায়গায় ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করার জন্য ১০টি পয়েন্টের গাইডলাইন সহ আনলক ১ বা প্রথম শিথিলতা পর্ব ঘোষিত হয়েছে।
ফেজ-১ঃঃ ৮ জুন থেকে খুলবে ধর্মীয়স্থান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট। এনিয়ে প্রয়োজনীয় আচরণবিধি লাগু করবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
ফেজ-২ঃঃ জুলাই মাস থেকে স্কুল, কলেজ, ট্রেনিং সেন্টার, কোচিং সেন্টার রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে আলোচনা করে খুলবে। শিক্ষক, অভিভাবকেদর মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ফেজ-৩ঃঃ আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় উড়ান পরিষেবা, মেট্রো রেল পরিষেবা, লোকাল ট্রেন পরিষেবা, সিনেমা হল, জিম, পার্লার, স্পা, সুইমিং পুল, বার, অডিটরিয়াম খোলার ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নাইট কার্ফুঃ সারা দেশে সংক্রমণ হ্রাসের লক্ষ্যে রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু লাগু থাকবে।
কনটেনমেন্ট এলাকায়- ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে, কনটেন্টমেন্ট জোনের বাইরে বাইরে বাফার জোন চিহ্নিত করতে হবে রাজ্যকে (যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেটাই বাফার জোন)।
আন্তঃরাজ্য চলাচলের ক্ষেত্রে কোনও ছাড়পত্র লাগবে না। পণ্য কিংবা মানুষের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে স্থলপথে বাণিজ্য যেমন চলছিল তেমনই চলবে। বিবাহের অনুষ্ঠানে ৫০ ও শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে ২০ জনের বেশি যোগ দিতে পারবেন না। পাশাপাশি, মাস্ক ব্যবহার, স্যানিটাইজার ব্যবহার, সামাজিক দুরত্ববিধি মানা ব্যাপারে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
৬৫ বছরের বেশি ব্যক্তি, ১০ বছরের কম বয়সের শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের বাড়ির বাইরে অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া বেরোবার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এছাড়া, সরকারি ও বেসরকারি অফিসের সবকর্মীর ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক।