নিজস্ব সংবাদদাতা:- গোটা দেশ যখন অতিমারি করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আর এর থেকে পরিত্রান পাওয়ার উপায় খুঁজছে ঠিক এই রকম পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিলো মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচন সেপ্টেম্বর মাসের পরে পূর্বনির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে। তবে কংগ্রেস পার্টি প্রথম থেকেই চাইছিল উপনির্বাচন যাতে করোনা প্রকোপের পর সুস্থ সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। এইজন্য কংগ্রেস পার্টি বেশ কয়েকবার নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবারও করেছিল কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেদিকে কোনরকম কর্ণপাত না করে উপনির্বাচন তার পূর্ব নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। এদিকে অনেকে মনে করছেন বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট করে রেখে দিয়েছেন কারণ বিজেপি প্রথম থেকেই উপনির্বাচনকে কাছিয়ে নিয়ে আসার কথা বলে আসছিল।
এখানে উল্লেখ্য, দেশে করোনা মহামারীর প্রথম দিকে গত মার্চ মাসে মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকারকে অনাস্থা ভোটে হারিয়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে। সেই সময় কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া তার ২২ জন অনুগামী এমএলএ নিয়ে দলবদলে বিজেপিতে যোগদান করে। ফলে বিধানসভায় কমলনাথ সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে তাকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ইস্তফা দিতে হয়। পরে আরোও দুইজন কংগ্রেস বিধায়ক দল পাল্টে বিজেপি সরকারের শামিল হয়।সবমিলিয়ে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে বর্তমানে ২৭ টি বিধায়ক পদ খালি রয়েছে যেখানে খুব শীঘ্রই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে বিজেপি আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস থেকে আসা প্রত্যেক বিধায়ককে উপনির্বাচনের ভোটে মনোনয়ন দেওয়া হবে। সেপ্টেম্বর মাসের পরে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ধরে নিয়ে বিজেপি এখন থেকেই ভার্চুয়াল রেলি শুরু করে দিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় বিজেপি বুথ মিটিংও সেরে ফেলেছে। কিন্তু বড় বড় নেতা শিবরাজ সিং চৌহান, আর্বিন্দ ভাদোরিয়া, তুলসী সিল্ওয়াত, এরা যখন নিজেরাই করোনায় আক্রান্ত তখন এত তাড়াতাড়ি উপনির্বাচনের দরকারটা কি-এই প্রশ্নটাই ঘুরছে আমজনতার মনে। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা কমলনাথ জানাচ্ছেন, “বিজেপি সরকার আসলে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে দ্রুত বিধানসভা ভোটের ফসল ঘরে তুলতে চাইছে”। তিনি আরোও বলেন,”বিজেপি একবার রাজ্যের লোককে বোকা বানিয়েছে, দ্বিতীয়বার রাজ্যের লোক আর বোকা বানাবে না”।