নিজস্ব প্রতিনিধি :- অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিলের পর এবার ভয়ংকর দাবানল শুরু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য গুলিতে। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উত্তর পশ্চিম উপকূলের তিন রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন এবং ওয়াশিংটন তীব্র দাবদাহে পুড়ছে। আগুনের তীব্র দাবদাহে মাইলের পর মাইল পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে। বহু বাড়িঘর, বাড়ির পোষ্য, সরকারি দপ্তর আগুনের তীব্র হালকায় ভষ্মিভূত হয়ে গেছে।
এখানে উল্লেখ্য, আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে ফিবছর দাবানলের কারণে বহু সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে এবারের দাবানল ভয়ঙ্করতম রূপধারণ করেছে। একের পর এক পশ্চিম উপকূলের তিন রাজ্যে দাবানলের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছে। যা এক কথায় বিরল। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় মূলত জঙ্গলের পরিমাণ বেশি থাকায় বছরের গরমকালে দাবানলের ঘটনা খুবই সাধারণ ঘটনা। তবে এক এক করে তিন রাজ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়া ও এরকম ভয়ঙ্কর দাবানলের অভিজ্ঞতার কথা স্থানীয় লোকজন মনে করতে পারছেন না।
সরকারি হিসাব মতে এখন পর্যন্ত ১১ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রভাবিত এলাকা থেকে প্রায় দুই লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য হাজার হাজার দমকলকর্মী ও ফায়ার ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তবে দাবানল এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
দাবানল লাগার কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা বজ্রবিদ্যুৎকে দায়ী করেছেন। পরিবেশ বিজ্ঞানী ড্যানিয়েল জানান, প্রথম থেকেই ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকায় আগুনের লেলিহান শিখা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে । ফলে দাবানলের কাবু পাওয়া সরকারের পক্ষে মুশকিল হয়ে গেছে। এদিকে বারবার দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে অল্প সময়ের ব্যবধানে দাবানল লেগে যাওয়ার কারণে পরিবেশবিদরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তবে তারা সবাই একমত বিশ্বের আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এরকম ঘটনা বারবার ঘটছে।