নিজস্ব সংবাদদাতা:- “কন্যাশ্রী”-র পর ফের রাষ্ট্রসঙ্ঘের পক্ষ (United Nation) থেকে বিশ্বসেরা পুরস্কার পেল ” উৎকর্ষ বাংলা” ও “সবুজ প্রকল্প”৷ রাষ্ট্রসঙ্ঘের অনুমোদিত সংস্থা ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি তে এই প্রতিযোগিতাটি হয়।
১৬২ টি দেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। মোট ১৬০০টি প্রকল্প জমা পড়ে সমগ্র পৃথিবী থেকে। এর মধ্যে বিশ্বসেরা হয় “সবুজ সাথী”। সেরার শিরোপা পায় উৎকর্ষ বাংলা৷ রাজ্য সরকারের পক্ষে ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের ওএসডি” সঞ্জয় থারে” এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। এক ভার্চুয়াল সমাবেশে এই পুরস্কার নেন “থারে”। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সবুজ সাথীকে ‘হুইলস ফর চেঞ্জ’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্র সঙ্ঘের ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে।
“বাংলা আবার জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে।”
এই কথাটি বাংলার মাননীয়া, মুখ্যমন্ত্রী “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়” সত্য প্রমাণ করে দেখালেন। ৮০ লক্ষের বেশী ছাত্র-ছাত্রীকে তিনি এই সবুজ সাথী প্রকল্পের আওতায় এনেছেন।
২০১১ সাল থেকে তিনি বারংবার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলতেন -“বাংলা আবার জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে” এই কথাটি তিনি আবারো সত্য প্রমাণিত করে দেখালেন। তার দুর্বার সাহসিকতা,অসহনীয় মনোভাব এক অসাধারণ মহিলা ব্যক্তিত্ব,তার সৃজনশীল মানসিকতা,অদম্য সাহস, হৃদয় ভরা মাতৃত্ববোধ,দয়ামমতায়, অনুরাগের ছোঁয়া ও “ভালোবাসায়” বাংলাকে বিশ্বের দরবারে প্রশংসনীয় স্থানে সমাদৃত করলেন।
২০১৫ সালে রাজ্যে জঙ্গলমহলের ছাত্রীদের মধ্যে সাইকেল বিলি দিয়ে শুরু হয় ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্প। পরবর্তীকালে ছাত্র ও ছাত্রী নির্বিশেষে রাজ্য জুড়ে প্রায় ৮৪ লক্ষেরও বেশি সাইকেল ইতিমধ্যে বিলি করা হয়েছে। প্রতিটি প্রশাসনিক সভাতেই মুখ্যমন্ত্রীর গুরুত্বের তালিকায় থাকে এই প্রকল্প। এবার এই প্রকল্পের বিশ্ব স্বীকৃতি নিয়ে উচ্ছ্বসিত রাজ্য সরকার। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই স্বীকৃতি রাজ্য সরকারের মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত করল বলেই মত সংশ্লিষ্ঠ মহলের।
২০১৭ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “কন্যাশ্রী প্রকল্পকে” সেরার শিরোপা দিয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। শুধু বাংলাই নয়, গোটা দেশের সরকারি পরিষেবায় তৈরি হয় এক নতুন মাইলফলক। ২০১৩ সালে এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর বাংলার ছবিটাই বদলে যায়। বাল্য বিবাহ, মেয়েদের স্কুল ড্রপ আউটের সংখ্যা নেমে যায় এক ধাক্কায়। বহু জাতীয়, আন্তর্জাতিক পুরস্কারের পর রাষ্ট্রসঙ্ঘের পাবলিক সার্ভিস ফোরামের মঞ্চেও কন্যাশ্রী স্বীকৃতি পায়।
২০১৫ সাল থেকে, ৮২ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় সাইকেল পেয়েছে। প্রায় এক কোটি শিক্ষার্থীদের এর আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন “সবুজ সাথী” প্রকল্পের মাধ্যমে ৪০ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে এই প্রকল্পের আওতায় আনবেন, তিনি সেটাই প্রমাণ করে দেখালেন – তারই একটি বাস্তব রূপ তিনি ৮০ লক্ষের বেশি ছাত্রছাত্রীকে সবুজ সাথী প্রকল্পের আওতায় আনলেন যা ইতিহাস সৃষ্টি করলো। রাজ্যের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, টুইটারে গতকাল উৎকর্ষ বাংলা ও সবুজ সাথীর ইউনাইটেড নেশন থেকে পাওয়া এই বিশ্ব সেরা পুরস্কার প্রাপ্তির ঘটনাটি ব্যক্ত করেন।