টি নিউজ ওয়ার্ল্ড: ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি! বিধান আনছে বাংলাদেশ সরকার। নারী নির্যাতন বর্তমান সময়ে নতুন কিছু নয়, একের পর এক এই ঘটনা ঘটেই চলেছে। এমন খবরই এখন টিভির পর্দা, খবরের কাগজে পাতা দখল করে নিচ্ছে।কিন্তু সুবিচার খুব কমই প্রকাশ পায়। যার কারণে বাংলাদেশ সরকার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি বিধান নিয়ে আসছে। সোমবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, এ দিন মন্ত্রী সভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন পেয়েছে। কালই অর্ডিন্যান্স আনা হচ্ছে, যা পরে পূর্ণাঙ্গ আইনে পরিণত করা হবে। করোনার জন্য সংসদের অনুমোদন এখন না-চলায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনটি আনা হল বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে একটার পর একটা ধর্ষণের ঘটনা সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। ধর্ষণের পরে খুনও হয়েছেন কয়েক জন নারী। সাধারণ দুষ্কৃতীর পাশাপাশি কয়েকটি ঘটনায় শাসক দলের অনুগামী ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের নামও জড়িয়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে শেখ হাসিনার সরকারকে। মৌলবাদী বিরোধী দল জামাতে ইসলামি বিষয়টিকে নিয়ে প্রায় ৭ বছর পরে ঢাকার রাস্তায় চোখে পড়ার মতো মিছিল বার করে। রোজই মিছিল, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ-সভা করছে নানা ছাত্র এবং মহিলা সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান কাল থেকেই চালু করে শেখ হাসিনার সরকার বার্তা দিল— ধর্ষণ মোকাবিলায় যথেষ্ট তৎপর তারা।