নিজস্ব সংবাদদাতা:- কোভিড টেস্ট পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে। সমাজ কি বলবে, বন্ধুরা কি ভাববে, গ্রামের লোক পাড়ায় ঢুকতে দিবে কিনা, চিন্তা করতে করতে পাগাড়পার ২০ বছরের তরুণ। অগত্যা আত্মহননের পথ বেছে নিলো তরুণ যুবক নরেন্দ্র বিশোই।
এই দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার নবরঙ্গপুর জেলার বড়ামেসিগ্রামে। গত সোমবার গ্রামের তরুণ-যুবক নরেন্দ্র বিশোই হালকা জ্বরসহ কিছুটা অসুস্থ বোধ করায় জেলার সদর শহরের এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিজের কোভিড পরীক্ষা করান। পরের দিন মঙ্গলবার দুইজন বন্ধুকে নিয়ে নরেন্দ্র সে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কভিড টেস্টের রিপোর্ট নিতে যান। নরেন্দ্রের বন্ধুরা জানাচ্ছেন, রিপোর্ট পজিটিভ জানতে পেরে নরেন্দ্র একদম মুষড়ে পড়ে। এমনকি সে বাড়ি ফিরতেও চাইছিলো না। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার রিপোর্ট টি নরেন্দ্র হাতে দিয়ে বাড়িতে এক সপ্তাহ মতো পৃথকভাবে থাকার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু কভিড পজিটিভ জানার পর গ্রামের লোক তাকে গ্রহণ করবে কিনা তা নিয়েই সে বেশি বিচলিত হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত সেই দিনই সন্ধ্যেবেলায় বাড়িতে রাখা কীটনাশক খেয়ে সে আত্মহত্যা করে।
পরে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত জেলার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, হাসপাতালে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গ্রামের তরুণ-যুবকের আচমকা মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে তরুণ যুবকের মৃত্যু একই সঙ্গে কয়েকটি গুরুতর প্রশ্ন সবার সামনে খাড়া করে দিয়েছে। কভিডে আক্রান্ত হলে কি কেউ অচ্ছুত হয়ে যায়, কোভিডে আক্রান্ত হওয়া মানে কি সমাজের জন্য গ্লানি বয়ে নিয়ে আসা, কেউ কোভিডে আক্রান্ত হলে সে কি সমাজের নজরে ছোট হয়ে যায়- এরকম হাজারো প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বড়ামেসি গ্রামে।