টিনিউজ ডেস্ক, : -আজ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহার ভোটের নির্বাচনী প্রচারের জন্য পাটনা এসে পৌঁছাবেন। কিন্তু তার পৌঁছানোর আগেই বিহারের রাজনৈতিক পারদ চড়চড় করে বাড়তে শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বিহারের তিন জায়গায় নির্বাচনী প্রচার সারবেন বলে জানা যাচ্ছে। বিহারের গয়া, ভাগলপুর ও রহতাস জেলায় তিনি তিনটি আলাদা আলাদা জনসমাবেশে যোগ দেবেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জনসমাবেশে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী বিহারের মাটিতে পা দেওয়ার আগেই ভারতীয় জনতা পার্টির একাধিক হেভিওয়েট নেতা বিহারে পরপর জনসমাবেশ করে গেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রত্যেকে একের পর এক বিহারে এসে নির্বাচনী প্রচার করে গেছেন নীতীশ কুমারের হয়ে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কিছুদিন আগেই বিহার নির্বাচনের ম্যানিফেস্টো প্রকাশ্যে এনেছেন এবং তিনি প্রত্যেকের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিতরণ করবেন বলে উল্লেখ করেন।
দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন, ভারতীয় জনতা পার্টির বড়ো বড়ো জনসভা ও হেভিওয়েট নেতাদের পরপর জনসমাবেশের পরেও বিহারের বিজেপি শিবির খুব একটা স্বস্তিতে নেই। বিশেষ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার করোনা পরিস্থিতি সঠিকভাবে মোকাবেলা না করতে পারায় রাজ্যের বেশিরভাগ জনগণ এবারের নির্বাচনে তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর মধ্যেই বিজেপির বিভিন্ন নেতা নির্বাচনী জনসমাবেশে নরম মেরুকরণের খেলা শুরু করে দিয়েছে।
এদিকে বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব মন্তব্য করেন, নিতীশ সরকার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলো থেকে নজর ঘোরাতে নির্বাচনী প্রচারে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ও রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার কথা মুখে আনছেন। লালু পুত্র তেজস্বী যাদব যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সাথে জানান,”এবার বিহারের মানুষ নিতীশ কুমার কে তার গদি থেকে উচ্ছেদ করে ফেলবেই”।