টিনিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, বিশেষ প্রতিবেদন :-দীর্ঘ ২৮ বছর পর কারাবাখ দখল করতে সক্ষম হলো আজারি বাহিনী। একই সাথে রাশিয়া এবং ফ্রান্সকে আরও একটা পরাজয় “উপহার” দিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
আজারবাইজানের হাজার হাজার মানুষ পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে এসেছে। শুধু আজারবাইজানের না,উড়ছে তুরস্কের পতাকাও। যারা ত্রিশ বছর আগে আর্মেনিয় গণহত্যায় কারাবাখ থেকে পালিয়ে এসেছিলেন, তাদের কাছেও আজকের এই দিনটা আবেগের।
পতাকা ধরে লোকজন হাউমাউ করে কাঁদছে। অথচ তাদের মুখে হাসি। বিজয়ের কান্নাগুলো কি এরকমই হয়?
মুখে হাসি এবং চোখে জল- সম্ভবত এই পৃথিবীর সুন্দরতম দৃশ্য!!
৯০ দশকে আজারবাইজান থেকে খারাবাখ দখল করে নেয় আর্মেনিয়া। সে সময় কারাবাখের ঐতিহাসিক আগদাম মসজিদকে শূকর এবং গবাদি পশুদের বাসস্থান বানিয়ে চরম অপমান করে উগ্রবাদীরা। তখন মুসলিমরা দেখেছে, অশ্রু ঝরিয়েছে কিন্তু প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। অন্তরে প্রতিশোধের আগুন যেন জ্বালিয়ে রেখেছিল। আজ প্রায় ত্রিশ বছর পর আজারবাইজান আবার নাগার্নো- কারাবাখ ফিরিয়ে নেয় লড়াই করে।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আজারবাইজান বনাম আর্মেনিয়ার যুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার আজারবাইজানি মুসলিম মৃত্যুবরণ করেছে এবং ৫০ হাজার জখম হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় এক মিলিয়ন মুসলিম ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়ে আজারবাইজানে রিফিউজি হিসেবে গত ৩০ বছর ধরে দিনযাপন করে আসছে। জাতিসঙ্ঘের ভূমিকাও দেখার মতো। তারা আর্মেনিয়ার প্রতি অধিকৃত এলাকা ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে চারটি প্রস্তাব পাস করে।
তবে কোনো প্রস্তাবের দিকে তাকিয়ে থেকে অপেক্ষা করে নি তুরস্ক। তুরস্কের পূর্ণ সহযোগীতায় এবার যুদ্বে শুরু করে আজারবাইজান। মাত্র দেড় মাসের মাথায় আর্মেনিয়া অসহায়, ধরাশায়ী। অবশেষে পালিয়ে যাওয়ার চেয়ে চুক্তির মাধ্যমে এলাকা ছেড়ে দেয়ার পথ বেছে নিয়েছে আর্মেনিয়া। তাই চুক্তির পর আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেছেন, এই সিদ্ধান্তটি ব্যক্তিগতভাবে আমার এবং আমাদের জনগণের জন্য অবর্ণনীয় বেদনাদায়ক। আর্মেনিয়ার এই বেদনার দিনে আজারবাইজানে চলছে বিজয়ের উল্লাস।