কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অমিতাভ লালার জীবনাবসান

0
Spread the love

টিনিউজ ওয়ার্ল্ড, নিজস্ব সংবাদদাতা :- সোমবার রাতে করোনার জেরে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অমিতাভ লালার দীর্ঘ কর্মজীবনের সমাপ্তি হল। তবে করোনামুক্ত হয়েছিলেন তিনি। করোনা থেকে রেহাই মিললেও পরে শরীরে ধরা পড়ে ইনফেকশন। আর সেটাই কাল হয়ে উঠল তাঁর। তাঁর আর বাড়ি ফেরা হল না। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবনাবসান ঘটে। সোমবার গভীর রাতে বাইপাসের এক বেসরকারী হাসপাতালে।

প্লাজমার ঘাটতি দেখা দেওয়ার পরে পরিবারের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাজমার জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু চিকিৎসার আগেই মৃত্যু হয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অমিতাভ লালার। সোমবার রাতেই এ খবর জানিয়েছেন তাঁর পারিবারিক বন্ধু ও আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে রাজ্য তথা দেশের আইনজীবী মহলে। অমিতাভ লালা তাঁর কর্মজীবনের শুরু করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে। পরে সেখানেই তিনি বিচারপতি হন। তাঁর বদলি হয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে সেখানে বেশ কিছুদিন তিনি কাজ করেন।
শ্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী মহাশয় তাঁর জন্য দুঃখ ও সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন,
কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি শ্রী অমিতাভ লালা-র মৃত্যুতে আমি অত্যন্ত বেদনাহত। শ্রী অমিতাভ লালা একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন, এবং সর্বোপরি একজন অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তাঁর অকালপ্রয়ানে আমি প্রবল ভাবে শোকাহত। তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি এবং তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।

যখন ২০০৪ সাল তখনই একটি ঘটনা ঘটে তাঁর সাথে।
কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি থাকাকালীন রাস্তা আটকে মিছিল, মিটিং করার বিরুদ্ধে প্রথম আওয়াজ তুলেছিলেন অমিতাভ লালা। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। একদিন হাইকোর্টে যাচ্ছিলেন। তখনই সিপিএমের এক বিরাট মিছিলের জেরে তাঁর গাড়ি প্রবল যানজটে আটকে যায়। সেদিনই আদালতে তিনি বলেছিলেন, কলকাতা শহরে অফিস টাইমে রাস্তা আটকে মিছিল, মিটিং বন্ধ করা উচিত। তাঁর এই মন্তব্যের জেরে তৎকালীন বাম নেতাদের রোষের মুখে পড়তে হয় অমিতাভ লালাকে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here