টি নিউজ ওয়ার্ল্ড, নিজস্ব সংবাদদাতা:- : দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও শিল্প ভিত্তিক ফেডারেশন গুলির ডাকে সাত দফা দাবিতে দেশ জোড়া সাধারণ সাধারণ ধর্মঘটে ব্যাপক প্রভাব পড়লো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর এ। সরকারী বাস রাস্তায় দেখা গেলেও বেসরকারী যানবাহন রাস্তায় নামেনি। বেশীরভাগ দোকানপাট বন্ধ।
জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই আজ রাস্তার দখল নিয়েছেন বাম কর্মী সমর্থকরা। পথ অবরোধ থেকে মিছিল চলছে জেলা জুড়েই। এদিন সকালে হরিরামপুর ও বালুরঘাট থেকে কলকাতা রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার ডিপো থেকে একাধিক বাস ছাড়লেও যাত্রী সংখ্যা হাতে গোনা। ধর্মঘটে সামিল পরিবহন কর্মীরাও। হরিরামপুর,গোবিন্দনগর,বুনিয়াদপুর, ও গাজোল বাসস্ট্যাণ্ডে বেসরকারী পরিবহন কর্মীরা পিকেটিং শুরু করেছেন।
মিজানুর রহমান নামে এক পরিবহন কর্মী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ধর্মঘটের প্রয়োজন ছিল। সেকারণেই ধর্মঘটকে সমর্থণ জানিয়ে তাঁরা কাজে যোগ দেননি বলে তিনি জানান। আব্দুল মালেক নামে এক যাত্রী বলেন, এই সুযোগে হরিরামপুর এর শহরের টোটো গুলি অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। সরকারী-বেসরকারী কোনও বাস চলাচল করছে না। ফলে আজ গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে তাঁকে হোটেলেই থাকতে হবে বলে তিনি জানান। হরিরামপুর। শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত দানগ্ৰামে ধর্মঘটের সমর্থণে পিকেটিং নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিপিএমের হরিরামপুর এর বিধায়ক রফিকুল ইসলাম ও আমিনুর ইসলাম ও সিপিএমের নেতা কর্মীরা। ধর্মঘট সমর্থণে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের পুলিশ আটক করে। যদিও পরে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। একই সঙ্গে তিনি আরো বলেন,গঙ্গারামপুর,বুনিয়াদপুর থেকে জেলার সর্বত্র মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বনধকে সমর্থণ জানিয়ে পথে নেমেছেন। রাজ্য ও কেন্দ্র দুই সরকার চাইছে মানুষের দাবি দাওয়ার বিষয়টি সামনে আসুক। কিন্তু সব কিছুকে ব্যর্থ করে দিয়ে দঃ দিনাজপুর জেলা জুড়ে দোকানপাট বন্ধ থেকে যানবাহন কিছুই চলছে না বলে তিনি দাবি করেন।