টিনিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক , বিশেষ প্রতিবেদন :- চীনের লাগাতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জিনজিয়াং প্রদেশের গোটা মুসলিম সমাজ। একের পর এক নতুন সরকারি আইন, শোষণ ও নিপীড়নে অসহায় উইঘুর সমাজ।
এখানে উল্লেখ্য, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে শুধুমাত্র উইঘুর মুসলিমদের বসবাস তাই নয় এখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বৌদ্ধ ও অল্পবিস্তর খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদেরও বাস রয়েছে। তবে চীন সরকার গোটা প্রদেশের চৈনিক করণ করতে গিয়ে স্থানীয় লোকেদের উপর অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়েছে বলে অভিযোগ। দেশের নাগরিকদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার নামে চীন সরকার দেশের নাগরিকদের ধর্ম পালনের মৌলিক অধিকারটুকু ছিনিয়ে নিতে চাইছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
এদিকে বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে চীন জিনজিয়াং প্রদেশের বহু মসজিদ ভেঙে ফেলেছে। এমনকি বাদ যায়নি খ্রিস্টানদের চার্চগুলোও। ধর্ম স্থান গুলো কে ভেঙে ফেলে সেখানে মদের দোকান অথবা নাইট ক্লাব বানানো হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এমনকি উইঘুর মুসলিমদের রোজা রাখতে বাধা প্রদান করা হয়েছে, মুসলিম তরুণদের মদ পান করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে খবর জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ধর্ম পালন করাকে এক গুরুতর অপরাধ মনে করছে চীন সরকার।
তবে এখন হাত গুটিয়ে বসে নেই আন্তর্জাতিক মহলও। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহল চীনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, ধর্ম পালন দেশের নাগরিকের একটি মৌলিক অধিকার। ধর্ম পালনের কোন সরকার বাধা দান করতে পারে না। আর এই মর্মে জাতীয় সংঘের তরফ থেকে বেশ কয়েকবার সাবধান বানী শোনানো হয়েছে চীন সরকার কে। উইঘুর সম্প্রদায়ের উপর চীন সরকারের বর্বর আচরণের দিকে লক্ষ্য রেখে ইতিমধ্যে চীনে উৎপাদিত তুলো ও সুতোর আমদানি ও রপ্তানি তে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাতিসংঘ। আগামী দিনে জাতিসংঘ চীনের আরও কিছু পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।