নিজস্ব সংবাদদাতা টি নিউজ ওয়ার্ল্ড :- দঃ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর বক্লের পুন্ডরী গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মেহেন্দীপাড়া গ্ৰামে ১২৫তম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম দিবস উপলক্ষে ভারতী সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে রক্তদান শিবির ও শীতবস্ত্র বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হলো মেহেন্দীপাড়া গ্ৰামে।
এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দঃ দিনাজপুর তৃণমূল জেলা সভাপতি গৌতম দাস, হরিরামপুর বক্লের বিডিও পুজা দেবনাথ, উপস্থিত ছিলেন হরিরামপুর ব্লক সভাপতি হাতেম আলী ও সহ সভাপতি সমীর দাস,হরিরামপুর পঃ সমিতির সভাপতি মধুমিতা রায়, উপস্থিত ছিলেন হরিরামপুর থানার আইসি বিশ্বজিৎ ঘোষ , উপস্থিত ছিলেন পুন্ডরী গ্ৰাম পঃ প্রধান বিনোদিনী মহাশয়া এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতী সংঘ ক্লাবের সম্পাদক আরসাদ আলি মন্ডল,সহ সম্পাদক মনিন্দ্রনাধ বর্মন,সহ উপস্থিত ছিলেন ভারতী সংঘ ক্লাবের সকল সদস্যরা বৃন্দরা।
দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূলের সভাপতি গৌতম দাস বলেন কে এই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আজকে যখন আমরা রক্তদান করছি ।একজন অসুস্থ রোগীর যখন রক্তের প্রয়োজন হবে এই রক্তদান শীবিরে যারা রক্তদান করছেন তাদেরই রক্ত বিনিময়ে একজন অসুস্থ মানুষের জীবন বাঁচবে।
আরও বলেন আমরা যখন মন্দির মসজিদ গির্জায় আটকে ঠেলবার চেষ্টা করছি তখননি এই রক্তদান শীবির আমাদেরকে মনে করিয়ে দেই। না এই বিভাজনের কোন জায়গায় নেই। সম্প্রীতি একমাত্র উপায় একমাত্র সাম্প্রদিক সম্পিতির মেল বন্ধনে একটা সুস্থ সমাজ, একটা রাজ্য,একটা দেশ, গড়ে তোলা যায়।
আরও বলেন যে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আমার অসুস্থ বাবার জন্য ডাক্তারা বলে এক্ষুনি এক ইউনিট রক্তের প্রয়োজন আছে। তখন আমারা ছুটতে ছুটতে ব্লাড ব্যাংকে যায়। ডাক্তারবাবুকে বলিনা যে আমার বাবা একজন হিন্দু তো আমাকে হিন্দু সম্প্রদায়ের রক্তদিন ।আমরা বাবার দেহে সেই রক্তের প্রয়োজন এটা কিন্তু বলিনা।
কেন রক্তের কোন যাত হয়না রক্তের কোন ধর্ম হয়না। যে একজন মুসলিম, হিন্দুর,খ্রিষ্ঠানের, আদিবাসীদের রক্তের বিনিময়ে একজন সনাতনের জীবন বাঁচাতে পারে। তাহলে কেন আজ দেশ জুড়ে বিভাজন। বাংলার বীর সন্তান নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তো কোন দিন বলেননি বিভাজন সৃষ্টি করো। নেতাজি বলেছিলেন তোমরা আমাই রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধিনতা দিবো। আজাদ হিন্দ ফৌজ গড়েছিল, দেশের জন্য লড়াই করে ছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে। পরিশেষে বার্তা দেন যে আমরা হিন্দু, মুসলিম,খ্রিষ্ঠান, আদিবাসী সকল সম্প্রদায়ের মানুষ যেন মিলেমিশে থাকতে পারি গোটা দঃ দিনাজপুরে।
এছাড়াও ভারতী সংঘ ক্লাবের সম্পাদক আরসাদ আলি বলেন আমরা প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরো ৪০০জনকে শীতবস্ত্র বিতরণ করলাম এবং আমাদের এই কর্মসূচিতে এসে প্রায় ৫০জনের অধিক মানুষ রক্তদান করেছেন আরো বলেন যে আমরা সাধারণ মানুষের পাশে থেকে নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করি বলে জানিয়েছেন।