নিজস্ব প্রতিবেদন ; টি নিউজ ওয়ার্ল্ড:-“সাম্য সুবিচার সৌভ্রাতৃত্ব সুস্থ সমাজের মূল মন্ত্র:
প্রিয় পাঠক বর্গ,
প্রতিনিয়ত যে ক্ষেত্রগুলিতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে ঃ
জীবনের অধিকার, কাজের অধিকার, ন্যূনতম মজুরির অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার, খাদ্যের অধিকার, ধর্মের অধিকার, সাম্যের অধিকার, শিক্ষার অধিকার, নারী নির্যাতন (ধর্ষণ), নারী পাচার, দলিত নির্যাতন, শিশুশ্রম, শিশু যৌন নিগ্রহ, জেলবন্দি অধিকার, নাগরিক অধিকার, রিফিউজি পূর্ণ গঠনের অধিকার, সংখ্যালঘু অধিকার, আরটিআই, বেআইনি গ্রেপ্তার।
সম্মানিত সুধী,
মানব সমাজ আজ অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ, নিপীড়ন, বঞ্চনা, লোভ- লালসা,কামান্ধতার লেলিহান শিখায় দাউদাউ করে জ্বলছে । হিংসা হানাহানি কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে শান্তি, সম্প্রীতি, সাম্য, সুবিচার ও সৌভ্রাতৃত্বের সুনির্মল আকাশ। ক্ষমতালোভীদের মিথ্যাচার আর দৌরাত্মে সত্যের নাভিশ্বাস মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, ন্যায় বিচার মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার গুলি একচেটিয়াভাবে ভোগ করে চলেছে কর্পোরেট দুনিয়া। অধিকাংশ মানুষ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে প্রান্তিক হয়ে পড়েছে। গ্রামাঞ্চলে এদের সংখ্যা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। শহরাঞ্চলে ২৭ শতাংশ। ভারতে ২৭ শতাংশ মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকা অবস্থায় নেই। এই বিপুল সংখ্যক বঞ্চিত মানুষ বড় অসহায়। শোষণের যাঁতাকলে পড়ে প্রতিবাদী আন্দোলন করার শক্তি সাহস হারিয়ে ফেলেছে।শাসকশ্রেণী ও পুঁজিবাদীদের অসভ্য আঁতাত মানবাধিকার সংরক্ষণের মস্ত বড় অন্তরায়। মানুষকে শুভেচ্ছার দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব কিন্তু ক্ষমতায়নের কদর্য খেলায় এ দায়িত্ব অবহেলিত।আদালত গুলিতে জমে থাকা সকল মামলা নিষ্পত্তি হতে সময় লাগবে প্রায় ৩৫০ বছর। তাছাড়া বিচার বিভাগ যেভাবে শাসন বিভাগ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে তাতে সুবিচার দূর অস্ত।
বর্ণবাদ, অগ্র- জাতীয়বাদ, রাজনীতি ; অর্থনীতি ও সমাজনীতি কলুষিত। সৌভ্রাতৃত্ব আজ হিংসা ও ঘৃণার পঙ্কিলতা প্রোথিত। অসাম্যের ঘূর্ণাবর্তে মানবসমাজ আবর্তিত। এই ধরনের অনৈতিক পরিমণ্ডলের মানবতা ক্ষয়িষ্ণু।একে সংরক্ষণ করা সকল সাম্যবাদী শান্তিপ্রিয় মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।কেননা মানবতা স্রষ্টা সকল মানুষকে সমান অধিকার প্রদান করেছেন জাতিসংঘের ঘোষণায় পরিস্ফূট।The right to live with human dignity and freedom is God given gift to every person born in this world. তাই আসুন মানবাধিকার সংরক্ষণের সোচ্চার হই। যাবতীয় সংকীর্ণতাবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি।সাম্য সুবিচার সৌভ্রাতৃত্বের অনাবিল একটা সুস্থ সুন্দর সমাজ গড়ে তোলার আন্দোলনে সামিল হই। মব লিঞ্চিং থেকে নিজেকে বাঁচান এবং অন্যকে বাঁচান মানব অধিকার রক্ষা করুন।
সত্য সময় সঙ্গে।