নিজস্ব প্রতিবেদন ; টি নিউজ ওয়ার্ল্ড:-কবি তার কবিতার মাধ্যমে সমাজকে বিভিন্ন বার্তা দেন। বর্তমান সমাজে শিক্ষার নামে বাচ্চা বাচ্চা শিশুদের আমরা যথেষ্ট সিলেবাসের বোঝা চাপিয়ে দিই। এর ফলে তাদের বুদ্ধির বিকাশ আমরা হতে দেই না। সমাজের বিভিন্ন বিষয় তাদের অজানা থাকে কারণ তারা ওই বইয়ের সিলেবাসের বাইরে থেকে বের হতে পারে না। এই সুন্দর সূর্য আছে সেটা তারা দেখতে পায় না। সুন্দর চাঁদ আছে সেটা তারা লক্ষ্য করে না।সুন্দর সবুজ শস্য শ্যামল ভরা পৃথিবী আছে তা তারা উপলব্ধি করতে পারে না। সকালের মধুর পাখির ডাক তাদের কানে পৌঁছালেও তা তারা অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করতে পারে না।কারণ সিলেবাসের মারাত্মক চাপে তারা জর্জরিত। তারা শুধু ছুটে চলেছে এমন এক গন্তব্যস্থলে যেখানে তারা জ্ঞানী হবে তবে বাস্তব জ্ঞান থাকবে না । জ্ঞান কোথায় লাগাতে হবে সেটা জানবে না। জীবনের ষোল আনাই মিছে হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা তাঁরই অনুসরণ করি যেমন ভেড়া তার দলকে অনুসরণ করে।
এই বিষয়ে কবি মইনুল কবীর (কিরণ) তার কবিতার মাধ্যমে এই বইয়ের বোঝার ব্যাপারটা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। মইনুল কবীর (কিরণ) যিনি মুর্শিদাবাদ জেলার রতনপুর এলাকার একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক তিনি বর্তমান ও সামাজিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন কবিতা রচনা করেন এবং সমাজকে জাগ্রত করেন।
‘শিশুর বোঝা’
কলমে; মইনুল কবীর (কিরণ)
খোকার পিঠে বইয়ের বোঝা
হারায় খোলা হাসি,
হোমওয়ার্ক টা বড্ড বেশি
নেইকো মনে খুশি।
গোটা-দশেক বইয়ের ঠেলা
নার্সারিতেই শুরু,
এমনভাবে চাপে থাকে
কুঁচকে উঠে ভুরু।
যখন তাদের খেলার সময়
হাতে থাকে বই,
এমন শৈশব দেখলে পরে
কেমন করে সয়।