নিজস্ব সংবাদদাতা ;টি নিউজ ওয়ার্ল্ড: ভোটের আগে এবার বাংলার রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই তিনি সেখান থেকেই লড়বেন জানিয়েছিিলেন
এই কেন্দ্রই বাংলার ভোটের এপিসেন্টার হয়ে ওঠে ক্রমশ। শুক্রবার নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী। ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টাকে মমতার ‘ঐতিহাসিক লং জাম্প’ বলে উল্লেখ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, মমতার জন্য বাংলার কোনও আসনই নিরাপদ নয়।
শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর টুইটারে প্রতিক্রিয়া দেন দিলীপ ঘোষ। দিলিপ ঘোষ দাবি করেছেন, হারের সম্ভাবনা দেখেই ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে ঐতিহাসিক লং জাম্প দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার উদ্দেশে দিলিপ ঘোষ বলেন, “আপনি দৌড়তে পারেন কিন্তু লুকনোর জায়গা পাবেন না।
নন্দীগ্রাম তো ভুলে যান, বাংলায় কোথাও মমতার জন্য নিরাপদ আসন নেই।” পরের আরও একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, “১০ বছর ধরে মা-মাটি-মানুষকে লুটেছেন, তাই পশ্চিমবঙ্গে কোনও নিরাপদ আসন নেই।”
ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টাকে কটাক্ষ করেছেন একাধিক বিজেপি নেতা-নেত্রী। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন, জেনে গেছে জনতা, ভয় পেয়ে নিজের মাঠ ছেড়েছে মমতা! বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের সহকারী পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যের মন্তব্য, “ভবানীপুর আসন ছেড়ে হার স্বীকার করলেন মমতা।” বঙ্গ বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “ভবানীপুরে জেতার সম্ভাবনা নেই বলেই নিরাপদ আসন খুঁজছেন। তবে এতে কোনও লাভ হবে না তৃণমূলের।” বলে জানিয়েছেন অনেক বিজেপি নেতারা!