বিশ্বের ৩০টি দূষিততম শহর

0
Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদন ; টি নিউজ ওয়ার্ল্ড:-বিশ্বের ৩০ দূষিততম শহরের মধ্যে ২২টি ভারতেই : রিপোর্ট

মার্চ ১৭, ২০২১ নয়াদিল্লি: বিশ্বের ৩০টি দূষিততম শহরগুলির ২২টিই ভারতের। আবার দূষিততম রাজধানী শহরগুলির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লি। আইকিউএয়ার নামে সুইডেনের একটি সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট ২০২০’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আর তা থেকে উঠে এসেছে এই তথ্য। তবে, এই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে, ২০১৯-২০২০ সালে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান প্রায় ১৫ শতাংশ উন্নতি করেছে। কিন্তু উন্নতি করা সত্ত্বেও দূষণ মাত্রার নিরিখে দিল্লির স্থান বিশ্বের নগরগুলির মধ্যে দশম। দিল্লির পাশাপাশি আর যে শহরগুলি এই তালিকায় জায়গা পেয়েছে সেগুলি হল উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ, বুলন্দশহর, বিশরাখ জালালপুর, নয়ডা, বৃহত্তর নয়ডা, কানপুর, লখনৌ, মিরাট, আগ্রা, মুজফফরনগর, রাজস্থানের ভিওয়ারি, হরিয়ানার ফরিদাবাদ, জিন্দ, হিসার, ফতেহবাদ, বান্ধোয়ারি, গুরুগ্রাম, যমুনা নগর, রোহতক ও ধারুহেরা ও বিহারের মুজফফরপুর।
রিপোর্ট মোতাবেক, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হল চিনের জিনজিয়াং। এর পরেই ভারতের ৯টি শহর। দ্বিতীয় স্থানে গাজিয়াবাদ। এই রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে বিশ্বের ১০৬টি দেশের পিএম২.৫ তথ্যের উপর ভিত্তি করে এবং সরকারি এজেন্সিগুলির মাধ্যমে। রিপোর্ট জানাচ্ছে, কোভিড-১৯-এর ফলে বিশ্বজোড়া লকডাউনের প্রভাবে দূষণের চরিত্র বদলেছে। যাইহোক, ভারতের বায়ুদূষণের মূল কারণ হল পরিবহন, রান্নার জন্য জৈব জ্বালানি পোড়ানো, বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প, নির্মাণ, বর্জ্য পোড়ানো ও নানা সময়ে কৃষিক্ষেত্র জ্বালানো।
গ্রিনপিস ইন্ডিয়ার জলবায়ু বিষয়ক প্রচারক অবিনাশ চঞ্চল বলেন, দিল্লি সহ বহু শহরে লকডাউনের ফলে বায়ুর গুণগত মান সামান্য উন্নত হয়েছে কিন্তু বায়ুদূষণের ফলে স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির উপর প্রভাব মারাত্মক। তিনি আরও জানান, দীর্ঘস্থায়ী ও ‘ক্লিন’ শক্তির উপর জোর দিচ্ছে সরকার, তবে কার্বন-মুক্ত পরিবহন যেমন হাঁটা, সাইকেল চালানো প্রভৃতিকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। আইকিউএয়ারের সিইও ফ্র্যাঙ্ক হ্যামস বলেন, ২০২০ সালে বায়ুদূষণ অপ্রত্যাশিতভাবে কমেছে। তবে ২০২১ সালে এই দূষণের মাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বায়ুদূষণ ঠেকাতে হবে কারণ বিশ্ব-পরিবেশের স্বাস্থ্যের জন্য এটা সবচেয়ে বড় বিপদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here