নিজস্ব সংবাদদাতা টি নিউজ ওয়ার্ল্ডঃ- দুই হেভিওয়েট নেতা নেত্রী শুভেন্দু মমতার মাঝে ছোট্ট একটি মেয়ে মীনাক্ষী এক দশক পরে পুরো ভারতবর্ষ পুরো বাংলা দেখতে চলেছে এক ঐতিহাসিক লড়াই। যেখানে তৃণেমূল প্রার্থী হিসাবে থাকছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়; আর বিজেপির তরফ থেকে লড়ছেন শুভেন্দু অধিকারী। বলা বাহুল্য যে উনি কয়েকমাস আগে বিজেপিতে যোগদান করেছেন তার আগে তৃণেমূলের প্রথম সারির নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন।। যাইহোক অন্যদিকে বাম প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন ছোট্ট একটি মেয়ে মীনাক্ষী।।
মীনাক্ষী এই প্রথমবার ভোটযুদ্ধে সামিল হয়েছেন তবে রাজনীতিটা প্রথম নয়। বঙ্গ রাজনীতিতে তিনি বহু বছর ধরেই যুক্ত রয়েছেন। মীনাক্ষী সিপিআইএম এর যুব সংগঠন ডিঅয়াইএফ এর রাজ্য সভানেত্রী ও সিপিআইএম এর রাজ্য কমিটির সদস্য। আর এইবার তিনিই সিপিয়আইএম এর বহু চর্চিত প্রার্থী।
২০২১ এর ভোটযুদ্ধে সবচেয়ে আলোচিত আসন হচ্ছে নন্দিগ্রাম, আর এই বিধানসভা আসনটিতেই নজর থাকবে ভারতের পুরো বাংলার। কারন এখানেই হবে এবার সবচেয়ে বড় খেলা যেখানে থাকছে প্রার্থী হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর বিপক্ষে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে থাকছে শুভেন্দু অধিকারী। যিনি বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি একাধিকবার চ্যাঁলেঞ্জে জানিয়েছেন, বলেছেন নন্দিগ্রামে লড়ার কথা, বলেছেন পঞ্চাশ হাজার ভোটে হারানোর কথা, বলেছেন তিনি মাননীয়াকে হারেবেনই তাই নন্দিগ্রাম হয়ে উঠেছে এক বিশেষ জায়গা যেখানে হবে বাংলার সবচেয়ে বড় খেলা। আর অন্যদিকে রয়েছেন বাম প্রার্থী একটি ছোট্ট মেয়ে মীনাক্ষী, যাকে বর্তমানে নন্দিগ্রামবাসী ঘরের মেয়ে হিসাবে আপন করে নিতে শুরু করেছে।
মীনাক্ষী কুলটির চলবলপুর গ্রামের বাসিন্দা, তাকে এত বড় লড়াইয়ে ভয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে সরাসরি জবাব দেন যে; ” ভয়, দোটানা কিছুই নেই। এটা ঠিক যে ভোটের ময়দানে প্রথমবার লড়ছি। কিন্তু গত এক দশক ধরে এই তৃণেমূল বিজেপির বিরুদ্ধেই লড়াই করছি। বেকারদের কর্মসংস্থান নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলছে আমাদের। সেই লড়াই একই আছে শুধু মঞ্ছ বদলেছে।।”
মিনাক্ষিকে যুব সমর্থনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন; “যুব বলতে বোঝায় নির্দিষ্ট বয়স, তবে আমাদের সাথে রয়েছেন গৃহবধূ থেকে শুরু করে চাকুরী না পাওয়া যুবকও। আমরা তাদের কাছে পৌঁছেছি তারা সকলেই পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছে, যারা হাতের কাজ কেড়ে নিয়েছে, সব ক্ষেত্রে দদুর্নীতি করছে, তাদের হাত থেকে সবাই মুক্তি চায়, দম বন্ধ করা পরিবেশ থেকে সকলে এবার মুক্তি চায়।।”
তবে দেখার বিষয় এটাই যে; এই মীনাক্ষী কি পারবে বড় বড় হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে। যে মমতা ১১ বছর আগে সিপিআইএম কে এই নন্দিগ্রাম থেকে সমূলে উঠিয়ে দিয়ে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিল তাকে সেখানে মীনাক্ষী নামের একটি ছোট্ট মেয়ে পারবে কি পাল্লা দিতে??