নাম ঘোষণা অন্য প্রার্থীর, মনোনয়ন জমা দিল অন্য কেউ!

0
Spread the love

নিজস্ব সংবাদদাতা ;টি নিউজ ওয়ার্ল্ড:-– নাম ঘোষণা অন্য প্রার্থীর, মনোনয়ন জমা দিল অন্য কেউ! নির্বাচনের প্রাক্কালে BJPর গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে এলো। দলের প্রার্থী হিসেবে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে পছন্দ নয়, তাই এবার BJP ছেড়ে ভারতীয় জনতা সংঘের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন BJPর প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুফল সরকার। সোমবার তিনি শান্তিপুর বিধানসভার ভারতীয় জনতা সংঘের প্রার্থী হয়ে রানাঘাট মহকুমা শাসকের দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দেন।সোমবার প্রথমে গোবিন্দপুর কালীবাড়িতে পুজো দেন। এরপর নিহত BJP নেতা বিপ্লব শিকদারের মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এরপরই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।

মনোনয়ন জমার বিষয়ে সুফল সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের দুঃসময়ে আমরা দল করছি, কিন্তু দল যখন বড় হচ্ছে আমাদের দল যোগ্য সম্মান দিল না। আমরা নিজেদের আদি BJP হিসাবে পরিচয় দিচ্ছি। মানুষের যা সমর্থন পাচ্ছি প্রার্থী এই বিধানসভায় ভারতীয় জনতা সংঘ বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে বলে তিনি আশাবাদী।দীর্ঘদিনের BJPর সংস্পর্শ ত্যাগ করলেন তিনি।কিছুদিন আগে শান্তিপুর বিধানসভার প্রার্থী সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে দলের টিকিট দেওয়ার জন্য একটা অংশের বিক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছিলো।তাদের বক্তব্য ছিল, সাংসদ জগন্নাথ সরকার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দিল্লিতে থাকার কারণে মানুষকে সময় দিতে পারেনি। ক্রমশই দল বড় হওয়ায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখেননি তিনি।সুফল বিশ্বাসের মতন আরও বেশ কিছু মানুষ আছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে দল করে আসছেন, এবং সমগ্র বিধানসভার পুরনো কর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ। তাই একজনকে দুটি সুযোগ না দিয়ে তাদের সুযোগ দিলে একদিকে যেমন দল সম্মৃদ্ধ হয় অন্যদিকে কর্মীরা অনুপ্রাণিত হয় । যদিও BJPর পক্ষ থেকে শেষমেষ পরিবর্তন করা হয়নি জগন্নাথ সরকারের নাম।
এরপর সোমবার সকাল এগারোটা নাগাদ পুরনো দিনের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে, মতুয়া সম্প্রদায়ের ডঙ্কা, নিশান সহযোগে স্থানীয় গোবিন্দপুর কালীবাড়িতে পুজো দিয়ে, কর্মী সমর্থকদের নিয়ে রানাঘাটে মহকুমা শাসকের দপ্তরে জনসংঘের হয়ে মনোনয়ন দাখিল করেন তিনি। জনসংঘের সভাপতি কিছুদিন আগে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিলেন, “জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আদর্শ থেকে বর্তমান BJP সরে গিয়েছে।দল এখন কর্পোরেটদের হাতে চলে গিয়েছে। মোদী ও শাহ দেশকে বিক্রি করে দিতে চাইছে। আমরা এই পরিস্থিতির থেকে দেশকে ঘুরে দাঁড়া করানোর চেষ্টা করছি।সেই কারণেই আমরা এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিলাম।

দলীয় সূত্রে জানা যায়,১৯৫১ সাল থেকে জনসংঘ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও পরবর্তীতে BJPর লালকৃষ্ণ আদবানি জনসংঘ সদস্যদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেন।তবে এ বছর ১৭৫ টি আসনে বিধানসভায় প্রার্থী ঘোষণা করেছেন তারা। যার মধ্যে নদিয়ার হরিণঘাটার বর্ষা দাস, শান্তিপুরের সুফল সরকার সহ আরো তিনটি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে সুফল সরকার জানান, যে মায়ের দেহ থেকে সৃষ্ট হয়েছে BJP, সেই জনসংঘর প্রার্থী হয়ে কোন অন্যায় করিনি, বরং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের চিন্তাভাবনা সাধারণ মানুষের মধ্যে তুলে ধরার জন্য পুনরুদ্ধারে চেষ্টা করছি, এ লড়াই আদর্শ নৈতিকতার লড়াই।বেশকিছু পুরনো দিনের কর্মী সমর্থকদের দাবি, অশোক চক্রবর্তী, মানবেন্দ্র রায় এরকম বহু নেতৃত্ব বাদ পড়েছে নবাগতদের কারণে। আগামীতে জনসংঘ আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।

Peace Honey 100g

বনধ্ সমর্থনে এবং কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সি.পি.আই.এম এর মহামিছিল জলঙ্গিতে !

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here