নিজস্ব সংবাদদাতা, টি নিউজ ওয়ার্ল্ড:- এবারও ঝড় সামলাব, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বললেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে এখন লকডাউনের কথা ভাবা হচ্ছে না। এমনটাই জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বললেন, লকডাউনে প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
এদিন মালদায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আতঙ্কিত না হয়ে মানবিকতার হাত বাড়াতে হবে। এবারও করোনা-ঝড় সামলানো যাবে। বললেন, এবারও ঝড় সামলাব, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সঙ্কটজনক হলে তবেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। মৃদু উপসর্গ থাকলে সেফ হাউসে থাকুন।‘ তিনি জানান, তিনটি গ্রেড করা হবে। গুরুতরদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে। অসুস্থতদের সেফ হাউসে। কম অসুস্থদের বাড়িতে আইসোলেশনে।
তিনি জানিয়ে রাখেন, সেফ হাউস গুলিকে হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। বললেন, ‘এই মুহূর্তে ১১ হাজার বেড রয়েছে। আগামী দু’দিনে আরও ২ হাজার বেড যুক্ত হবে।
একইসঙ্গে হাসাপাতালগুলির উদ্দেশে তিনি বলেন, রোগী গেলে অন্য হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কোনও রোগী যেন ফিরে না যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রাজ্যে ৬৭৯৩ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি। হোম আইসোলেশন ৫১,৫৯৩ জন রয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ৩,৮৮৮ জন। বেসরকারিতে ভর্তি ২,৯০৫ জন। ৮০টি হাসপাতালে ৭ হাজারের বেশি অক্সিজেন বেড রয়েছে। ৭০টি কোভিড হাসপাতাল রয়েছে।
বাজারে অক্সিজেনের অভাব নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে। বাড়তি মজুতদারি রুখতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কেউ মজুত করলে বা দাম বাড়ালে নজরদারি চালানো হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যেই ৯৩ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। ২.৫ পরিবারকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে আরও এক কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছে রাজ্য। বাজার থেকেও ভ্যাকসিন কেনার ভাবনা রয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘করোনা আক্রান্ত হলে ফোনে রোগীদের কাউন্সেলিং করবেন ডাক্তাররা। ‘টিকাকরণের জন্য ১০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করেছে রাজ্য।’
সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনের নতুন দাম ঘোষণা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কেন্দ্র কিনবে ১৫০ টাকায়, রাজ্য কিনবে ৪০০ টাকায়?’
তিনি বলেন, কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছি কেন ভ্যাকসিনের দাম বাড়ানো হবে? অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়েও চিঠি দিচ্ছি। ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা করবেন না। এখন ব্যবসা করার সময় না, মানবিকতার সময়? প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব, বৈষম্য থাকা উচিত নয়।
মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান, করোনা আক্রান্ত হলেও ভোট দেবেন। বললেন, কেউ ভোট দিতে চাইলে পোস্টাল ব্যালটের অনুমতি দেওয়া উচিত নির্বাচন কমিশনের।
মমতার মতে, করোনা একটা ঝড়, এবার ঝড় বেশি, কারণ অনেকে বাংলায় রয়ে গেছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী, পর্যবেক্ষক ও বিজেপির প্রচুর লোক এখানে বসে আছে।
আট দফা ভোটগ্রহণ নিয়ে এদিন ফের ক্ষোভপ্রকাশর করেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আট দফায় ভোট করে সমস্যা বেড়েছে। আমি তো চেয়েছিলাম দ্রুত সব কিছু যাতে শেষ হয়ে যায়। করোনাবিধি মানার জন্য নতুন ধারা সংযোজন করতে বলেছি।
মাস্ক ব্যবহারের ওপরও জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, করোনা আক্রান্তকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সবাই মাস্ক পরুন, সব বন্ধ করে লাভ নেই। গৃহবন্দির এখনই প্রয়োজন নেই। করোনার সংখ্যা খুব একটি বেশি নয়। মাস্ক রাজ্য সরকারই বিলি করেছে।