আফ্রিকার বৎসওয়ানার খনি থেকে উদ্ধার আটকোণা পদার্থ।

0
Spread the love
 টি নিউজ ওয়ার্ল্ড:- আফ্রিকার বৎসওয়ানার খনি থেকে উদ্ধার আটকোণা পদার্থ। হীরের (Diamond) খনিতে দুষ্প্রাপ্য রত্ন থাকবে, সেটা তো জানাই ছিল। কিন্তু হীরে পেতে গিয়ে খননকাজে এ কী উঠে এল! দেখে বিজ্ঞানীরাই চমকে উঠছেন। বিজ্ঞানীদের ধারণা এই বস্তু তো পৃথিবীতে পাওয়ার কথাই নয়।
বিজ্ঞানীদের প্রশ্ন তাহলে এল কোথা থেকে ?

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। প্রাথমিক পরীক্ষানিরীক্ষার পর তাঁরা জানতে পেরেছেন, বস্তুটি আসলে ক্যালসিয়াম সিলিকেট – পারভস্কাইট (CaSiO3-perovskite)। অত্যধিক চাপে কেলাসিত হয়ে এই পদার্থ তৈরি হয় সাধারণভাবে।

বিজ্ঞানীদের মনে প্রশ্ন পৃথিবীতে এত চাপের উৎস কি ?
 আফ্রিকার বৎসওয়ানার খনি থেকে উদ্ধার হওয়া আটকোণা পদার্থটি দেখে তারই উত্তর খুঁজতে গবেষণায় নেমেছেন বিজ্ঞানীরা।

ভূ-অভ্যন্তরে প্রবল পরিমাণ চাপ, তাপমাত্রা। সাধারণত আগ্নেয়গিরির গর্ভ এতটা চাপ-তাপের উৎসস্থল। সেখানে ক্যালসিয়াম, সিলিকন কেলাসিত হয়ে এ ধরনের পদার্থের জন্ম দিতে পারে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

ক্যালসিয়াম সিলিকেট যে রাসায়নিক গঠনযুক্ত (Chemical composition) বস্তু খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, তা অতি বিরল। হীরের মতোই চকচকে নতুন রত্নের নাম তাঁরা দিয়েছেন – ডাভেমাওইট (Davemaoite)।

বিখ্যাত ভূপদার্থ বিজ্ঞানী হো-কাংয়ের (ডাভে) নামানুসারে এই নামকরণ। এই বস্তুটি ভূপৃষ্ঠ কিংবা সাধারণ খনির গভীরতায় পাওয়া যাবে না, এমনই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। তবে এবার হীরের খনি থেকে ডাভেমাওইট পাওয়ার পর বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস মিথ্যে প্রমাণ হলো।

আমেরিকার নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকরা এ নিয়ে গবেষণা কাজে নেমেছেন। ডাভেমাওইটের রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে, এটি আসলে তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়ামের (Uranium) একটি আইসোটোপ। এর মধ্যে থোরিয়াম, পটাসিয়ামের ধর্মও বিদ্যমান। বলা হচ্ছে, এই ডাভেমাওইট আসলে এমন তিনটি পদার্থের সংমিশ্রণ, যা ভূপৃষ্ঠে তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী মৌলের জন্ম দেয়। বৎসওয়ানার ওরাপা খনি থেকে উদ্ধার হয়েছে আটকোণা বড়সড় একটি হীরকখণ্ড। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির খনি বিজ্ঞানী জর্জ রসম্যান নিজে আলাদা করে ডাভেমাওইটের অংশবিশেষ নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু করেন।

ইন্টারন্যাশনাল মাইনরোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন কমিশন অফ নিউ মিনারেলস, নমেনক্লেচার অর্থাৎ রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করে, শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী নতুন মৌলের নামকরণ করার দায়িত্ব যে সংস্থার উপর, তারা আপাতত এই বিরল হীরকখণ্ডটিকে ‘রেয়ার আর্থ এলিমেন্ট’ বা পৃথিবীর বিরল উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এত পরিমাণ চাপ ও তাপমাত্রায় এই মৌলটি নিজের গঠন ধরে রাখতে নাও পারে। অর্থাৎ এর মৌলিক গঠন ভেঙেচুরে যেতে পারে। এখন যা হীরকখণ্ডের আকারে দেখা যাচ্ছে, সেটা পরবর্তীতে ভেঙে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।

আহলে হাদীসের উপরে জঙ্গী অপবাদ লাগানোর অপপ্রয়াস

ক্রিম হানী ফুল এখনি অর্ডার করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here