করোনার ত্রাস ক্রমবর্ধমান, আমফানেও লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে রাজ্যের কয়েকটা মূল জেলা, ক্ষতির রাশি ছাড়িয়েছে লক্ষ কোটি। তা সত্বেও পিছু না হটে সামনে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে চলেছে। তারপরেও আশার আলো ক্ষীন। তার উপর নিজ দলের অন্তরদ্বন্দ্ব, কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আশানুরুপ সহযোগীতা না পাওয়া এবং বিরোধী দলগুলির রাজনীতির জন্য সরকারের স্বাধীন ভাবে কাজে প্রতিবন্ধকতা। সব মিলিয়ে বেশ জটিল অবস্থা মধ্য দিয়ে যাছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও রাজ্য সরকার। সেজন্য খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহ কে জানিয়েছিলেন, “সরকার ভেঙ্গে দিন”। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমরা রাজ্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারি না”। বাইরে থেকে পরিযায়ী শ্রমিক দের আগমনের ফলে করোনার প্রকোপ সবথেকে বেশি দেখা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেই। তাই রাজ্যের পরিস্থিতি আরোও খারাপ হওয়ার আশংকা করছেন অনেকেই। এমতবস্থায়, রজনীতি করা প্রধান বিরোধি দলের পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আবেদন জানান, ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রী। গত বুধবার নবান্নে ভিডিও কনফারেন্সে জেলাশাসক দের সাথে মিটিংয়ের সময় এমন কথাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।