রাজস্থান:- স্পর্শকাতর সামরিক তথ্য পাচারের দায়ে গত সোমবার রাজস্থান থেকে দুই গুপ্তচরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা দুইজন মূলত পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আই এস আই এর হয়ে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে গুপ্তচরবৃত্তি করছিল। ইতিমধ্যেই রাজস্থান পুলিশ এদের দুজনকে সনাক্ত করতে পেরেছে এবং তাদের নাম প্রকাশ করেছে।
এদের মধ্যে একজন হলো বিকাশ কুমার, বয়স ২৯, প্রতিরক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তা আর অন্যজন হলো চিমানলাল, বয়স ২২, সে ফায়ার রেঞ্জের একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মী। তবে সবচেয়ে মাথাব্যথার কারণ বিকাশ কুমার, কারণ তিনি প্রতিরক্ষা দপ্তরের একজন পুরনো কর্মকর্তা তাই কত কিছু তথ্য সে আই এস আইয়ের হাতে দিয়েছেন তা জিজ্ঞাসাবাদের পরেই জানা যাবে বলে মনে করছে রাজস্থান পুলিশ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজস্থান পুলিশ এবং এমআই (মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স) এর একটি সংযুক্ত টিম বেশ কিছুদিন ধরেই দুজনের ওপর নজরদারি চালিয়েছে এবং এদের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর উপর নজর রাখা হচ্ছিল কারণ এদের একাউন্টে বিদেশ থেকে প্রায়ই মোটা অংকের টাকা আসছিল। তারপর একরকম নিশ্চিত হয়েই রাজস্থান পুলিশ এদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এখন দুজনকেই রাজস্থান পুলিশ আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এদিকে জানা যাচ্ছে বিকাশ কুমার তার দোষ স্বীকার করে নিয়েছে এবং সে জানিয়েছে ২০১৯ এর গোড়ার দিকে আনুশকা চোপড়া নামে এক মহিলার সঙ্গে ফেসবুকে তার পরিচয় হয় পরে তারা বন্ধু হয়ে যায় কিন্তু সে জানতো না এটা একটা নকল প্রোফাইল যেটা পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হয়। আর বন্ধুত্বের খাতিরে সে তার বন্ধুকে প্রতিরক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন ছবি এবং তথ্য পাঠিয়েছিল বলে সে দাবি করেছে। তবে গোয়েন্দা বিভাগ, বিকাশ কুমারের কথাগুলো মেনে নিতে রাজি নন কারণ তারা জানিয়েছেন বন্ধুত্বের খাতিরে আর সবকিছু মেনে নিলেও সামরিক দপ্তরের স্পর্শ কাতর তথ্য পাচারের কোন যুক্তি খাড়া করা যায় না। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি বিভিন্ন যুক্তি ও ব্যাখ্যা তার স্বপেক্ষে দাঁড় করানো চেষ্টা করলেও তার একাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা কোথা থেকে আসলো তার সঠিক উত্তর সে দিতে পারেনি।
রাজস্থান পুলিশের জেরার পর অভিযুক্ত চরকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে দিল্লিতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজস্থান. পুলিশ । মনে করা হচ্ছে এ ব্যক্তিকে জেরা করার পর চরবৃত্তির সাথে জড়িত আরোও বড়ো কোন সামরিক কর্তার নাম সামনে আসতে পারে।