আলজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি আবদুল মাজিদ তাবুন
লিবিয়ায় সশস্ত্র সংঘাত অব্যাহত রাখার জন্য শুক্রবার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “লিবিয়ায় যে রক্তপাত হচ্ছে সেটা লিবিয়ারই রক্ত, বাইরে থেকে এসে যারা লড়াই করছে তাদের রক্ত নয়”।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, “প্রতিবেশী দেশ লিবিয়ার ভূমি দখল বা অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা তার দেশের নেই, তার দেশ শুধু যুদ্ধবিরতি চাই”
তিনি আরো জানান “লিবিয়া সিরিয়ার দৃশ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু লিবিয়ার সমাধানটি সামরিক সমাধান নয়”।
তিনি অব্যাহত রেখে বলেন, “সংঘাত বন্ধ না হলে সোমালিয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে লিবিয়ায়”।
তিনি বলেন, “আলজেরিয়ার একমাত্র লক্ষ্য হল সীমান্ত রক্ষা করা ও লিবিয়ার ভাইদের রক্ত হেফাজত করা”।
তিনি এটাও বলেন যে, “আলজেরিয়া একমাত্র দেশ যা লিবিয়ার দলগুলিকে একত্রিত করতে পারে এবং লিবিয়ার “জাতীয় সেনা বাহিনীর” নেতা খলিফা হাফতার এবং “জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের” নেতা ফায়েয আল সিরাজ উভয়ই
আলজেরিয়ার মধ্যস্থতা মেনে নেওয়ার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন”
তিনি আরো বলেন যে, “সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিবেশী দেশ গুলির সাথে , মিসর বা তিউনিসিয়া হোক না কেন তাদের সাথে বসতে তার কোন আপত্তি নেই”।
গত শনিবার মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতির ডাক দেন। আল সিসির যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব আরবের প্রায় সব দেশ গুলোই, এবং ফ্রান্স, আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন এরা সবাই স্বাগত জানাই।
তবে লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার ও তুরস্কের প্রেসিডেনট রজব তাইয়্যেব এরদোগান মিসরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে লিবিয়ায় যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে চান।
২০১১ সালে লিবিয়ায় ন্যাটো বাহিনীর হাতে সাবেক শাসক গাদ্দাফী নিহত হওয়ার পর থেকে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের সমর্থনে দেশটিতে আই এস সহ বহু উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে।