নিজস্ব প্রতিনিধি :- ২০২১ এর বিধানসভা ভোট নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে যেন গরম হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু ভোটের গরম হাওয়া কে এক লহমায় যেন বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিন বাড়ির পাশে চায়ের দোকানের সামনে বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে আশেপাশের বহু উৎসুক জনতা ভিড় করেছিল। ভিড় কমাতে ডজনখানেক পুলিশকে বেশ কয়েকবার ধাক্কাধাক্কি করতেও দেখা গেল।
এদিকে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখা কমিটির অভিযোগ, দেবেন্দ্র নাথ রায় কে প্রথমে খুন করা হয়েছে তারপর সেটাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য তার দেহটি গাছের সাথে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগের তীর শাসকগোষ্ঠী তৃণমূলের দিকে। তবে এখন পর্যন্ত কোন এফআইআর করা হয়নি বলে জানা যাচ্ছে।
গ্রামবাসীদের মতে, গভীর রাত্রে কিছু মোটরসাইকেল আরোহী বিধায়কের বাড়ির বাইরে থেকে তাকে ডাক দেয়। বিধায়ক কিছুক্ষণ পর বাড়ির বাইরে আসেন এবং তাদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলেন পরে তারা সবাই মিলে পাশের চায়ের দোকানের কাছে যায়। তারপর সেখানে গিয়ে তারা কোন বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছে কিনা সেটা গ্রামের কেউই স্পষ্ট করে বলতে পারছে না। তবে পরের দিন সকালে সেই চায়ের দোকানের সামনে বিধায়কের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করছে।
বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায় ২০১৬ সাল পর্যন্ত সিপিএম এমএলএ ছিলেন পরবর্তীকালে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন এবং ২০১৯ এ বিজেপির টিকিটে তিনি ঐ এলাকার এমএলএ হন। গরীব ও দুস্থ লোকেদের সহযোগিতার ব্যাপারে এলাকায় তার খুব সুনাম রয়েছে। তার পরিবারের তরফ থেকে রাজনৈতিক কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা রাজনৈতিক দলাদলির বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। বরং বিধায়কের ভাই ব্যক্তিগত শত্রুতার কথা উল্লেখ করেছেন। এদিকে শাসকগোষ্ঠী অর্থাৎ তৃণমূল প্রশাসন এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক যাচাই হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বলেছে আমরা প্রথমে যাচাই করে দেখবো এটা আত্মহত্যা না হত্যাকাণ্ড।যদি এটা হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকে তাহলে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।