ছাত্রসংগঠন এসআইও এর শিক্ষা অভিযান কর্মসূচী গ্রহণ

0
Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি :- বর্তমানে ভারতবর্ষের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিস্থিতির খুবই উদ্বেগজনক এবং হতাশা ব্যঞ্জক। কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে বেকারত্বের হার ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার করোনা আবহাওয়াতেই জাতীয় শিক্ষা নীতি পাশ করায় সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে।

ছাত্র্র সংগঠন “স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া”, পশ্চিমবঙ্গ শাখা বর্তমান  পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা অভিযান কর্মসূচি পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে,। “উদ্ভূত বিশ্ব পরিস্থিতি শিক্ষায় নতুন মাত্রা কর্মক্ষেত্রের উদ্ভব”- শিরোনামে ২৫শে আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সারা রাজ্য জুড়ে শিক্ষা অভিযান চালানো হবে বলে , সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই সংগঠন মনে করে যে, স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে পড়াশোনা কখনই সুষ্ঠ সমাধান নয়, যেখানে দেশের ৭৬.২ শতাংশ (NSSO অনুযায়ী) মানুষের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছায়নি, সেখানে অনলাইনে পড়াশোনা তাদের কাছে খুবই কঠিন ।

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের “জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০” এর মাধ্যমে শিক্ষার গৈরিকীকরণের অপ্রচেষ্টা করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। সেই সাথে করোনা আবহাওয়ে বেকারত্ব বৃদ্ধি, সরকারের গাফিলতি ও ভুল কর্মনীতির ফল বলে মনে করা হচ্ছে। যা দেশ তখা জাতিকে চরম বিপদের সম্মুখীন করে তুলেছ ,এমনটি মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।সংগঠনের “রাজ্য সভাপতি ওসমান গনি “– মঙ্গলবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদিক সম্মেলনে বলেন, বর্তমান সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থার বিকল্প পদ্ধতি হিসাবে কমিউনিটি টিউটর এবং এলাকাভিত্তিক পাঠদানের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তিনি আরো বলেন এই সময়ে স্কুলছুটের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাবে তাই বর্তমান সরকারকে স্কুলছুট, রুখতে সরকারের, বিশেষ পরিকল্পনার প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন নয়া শিক্ষানীতিতে এক বিশেষ ভাষা ও শিক্ষানীতিকে দেশের মানুষের উপরে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায়না। শিক্ষা আন্দোলন উপলক্ষ্যে রাজ্য ও সমস্ত জেলার শিক্ষা দপ্তরে দাবিপত্র জমা করার কথাও জানান তিনি। ওসমান গনি আপামর ছাত্রসমাজকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে শিক্ষা অভিযানকে সফল করার আহ্বান জানান।

এস আইও ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে এই মর্মে কিছু দাবি দাবি তুলে ধরা হয়। সেইগুলি নিম্নরূপ–

১) “জাতীয় শিক্ষা নীতি-২০২০” পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
২) বর্তমান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে বিকল্প শিক্ষা পদ্ধতির প্রচলন করতে হবে।
৩) স্কুলছুট নিয়ন্ত্রনে গঠনমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ ও প্রকল্প তৈরি করতে হবে।
৪) মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য ঘোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫) স্কুল ও কলেজের লাগামহীন ফী নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৬) SSC ও প্রাইমারিসহ অন্যান্য চাকরির পরীক্ষাগুলিতে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
৭) মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের (MSC) নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত ও দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
৮) ঐতিহাসিক হুগলি মাদ্রাসাকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় কলেজ হিসাবে ঘোষণা করতে হবে।
৯) মিল্লি আল-আমীন কলেজের মাইনোরিটি স্ট্যাটাস অবিলম্বে ফিরিয়ে দিতে হবে।
১০) কলকাতা ইউনানি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপিটালকে আইন মেনে সরকারি আওতাভুক্ত করতে হবে।
১১) পূর্ব ভারতে ইসলামী শিক্ষার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী শিক্ষার প্রস্তাবিত পাঠক্রমগুলির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে।
১২) চাকরির ক্ষেত্রে শূন্যপদ পূরণের জন্য নিয়মিত পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং বেকারত্ব দূরীকরণে যোগ্যতানুযায়ী উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here