নিজস্ব সংবাদদাতা :-ইসলামিক স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের উত্তর ২৪ পরগনা শাখা, ইতিমধ্য জাতীয় শিক্ষানীতির পরিমার্জন ও পরিবর্ধন এর জন্য বর্তমান সরকারের কাছে একটি দাবি জানিয়ে “শিক্ষা অভিযান” কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলো।যা গত ২৫শে সেপ্টেম্বর শুুুরু হয়ে ছিল এবং আজ ৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা জারি থাাকবে।
ভার্চুয়াল মিটিং এর মাধ্যমে এসআইও এর “রাজ্য সভাপতি ওসমান গনি” রাজ্য সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি দাওয়া পেশ করেন। পরবর্তীতে এসআইও এর তরফ থেকে আরও একটি জোরালো দাবি পেশ করা হয় যাতে উত্তর চব্বিশ পরগনার “হাড়োয়া”তে একটি ডিগ্রী কলেজ প্রতিস্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী “পার্থ চট্টোপাধ্যায়” কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সেই দিকে সজাগ দৃষ্টি থাকবে স্থানীয় সাধারণ মানুষদের।
এখান উল্লেখ্য এই এলাকায় একটি” ডিগ্রী কলেজ” না থাকার কারণে প্রতি বছর এলাকার কয়েক হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পরে কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবার জন্য বহু দূর দূর এলাকা যেতে হয় । সুতরাং এই এলাকায় একটি কলেজে প্রতিষ্ঠিত হলে এলাকার সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের সুবিধা হবে । তাছাড়া এলাকার মানুষদের অনেক দিনের স্বপ্ন হাড়োয়ার জমিতে একটি ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠিত হবে ।
এখানে ইসলামিক ইসটুডেন অর্গানাইজেশনের বক্তব্যটি সরাসরি তুলে ধরা হলো——
“হাড়োয়া ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ছাত্রছাত্রীরা যদি উচ্চমাধ্যমিকের পর গ্রাজুয়েশন করতে চায় তবে তাদেরকে 20 কিলোমিটার (বা তারও বেশি) পর্যন্ত যাতায়াত করতে হবে একটি ডিগ্রি কলেজ পাওয়ার জন্য।
কাছাকাছি উচ্চশিক্ষার কোনও প্রতিস্থান না থাকার কারণে এই এলাকার বহু ছাত্রছাত্রী উচ্চমাধ্যমিকের পর পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এস আই ও উত্তর ২৪ পরগণা থেকে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যে হাড়োয়া এলাকায় দ্রুত একটি ডিগ্রি কলেজ প্রতিস্থিত হোক।
“শিক্ষা অভিযান ২০২০” (২৫শে আগস্ট – ৫ই সেপ্টেম্বর)।” (SIO- ইসলামিক স্টুডেন্ট অর্গানাঈজেশন।)
সুতরাং এই করোনা মহামারী পরিপ্রেক্ষিতে বহু ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা ছেড়ে দিচ্ছে, শিক্ষার হার বৃদ্ধি বেকারত্ব বৃদ্ধি, নৈতিক অধঃপতন, দারিদ্রতা যুবক ছেলে, মেয়েদের কে হতাশাগ্রস্ত করে তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে “ইসলামিক স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন” এর এই দাবি কতটা গ্রহণযোগ্য যুক্তিযুক্ত হবে। সরকার কী বিচার – বিবেচনা করবে সেদিকে লক্ষ্য থাকবে সাধারন মানুষ তথা বিশিষ্টজনদের।