নিজস্ব প্রতিনিধি: এবার বিহারে ভোট হবে তিন পর্বে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। প্রথম পর্বে ভোট হবে ২৮ অক্টোবর। দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ৩ নভেম্বর। তৃতীয় দফার ভোট হবে ৭ নভেম্বর। প্রথম দফায় ভোট হবে ১৬টি জেলার ৭১টি বিধানসভা কেন্দ্রে। বুথের সংখ্যা প্রায় ৩১,০০০। মাওবাদী অধ্যুষিত জেলাগুলিতেও এই দফাতেই ভোটদান। দ্বিতীয় দফায় ১৭টি জেলার ৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ৪২,০০০ টি বুথে ভোট হবে। তৃতীয় দফায় ১৫টি জেলার ৭৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় ৩৩,৫০০টি বুথে ভোট হবে। গণনা ১০ নভেম্বর। মধুবনী, পূ্ব এবং পশ্চিম চম্পারণ, বৈশালীর মতো বন্যা অধ্যুষিত জেলাগুলিতে একদফাতেই ভোটদান।
প্রথম দফার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু পয়লা অক্টোবর থেকে এবং শেষ আট অক্টোবর। মনোনয়নের স্ক্রুটিনি হবে ৯ অক্টোবর এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন ১২ অক্টোবর। দ্বিতীয় দফায় মনোনয়ন জমার প্রথম দিন ৯ অক্টোবর এবং শেষ দিন ১৬ অক্টোবর। স্ক্রুটিনির দিন ১৭ অক্টোবর এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন ১৯ অক্টোবর। তৃতীয় দফায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম এবং শেষ দিন যথাক্রমে ১৩ এবং ২০ অক্টোবর। স্ক্রুটিনির দিন ২১ অক্টোবর এবং প্রত্যাহারের দিন ২৩ অক্টোবর।
প্রথমেই তিনি বলে দেন, কোভিড ১৯ বা করোনা মহামারীর কারণেই এবার অনেক কিছু বদল হয়েছে। ৭০টি দেশে ভোট পিছিয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক না হওয়ায় সুরক্ষা বিধি মেনেই গণতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে ভোটের আয়োজন করা হচ্ছে। বিহার বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৯ নভেম্বর। ২৪৩ আসনের বিধানসভায় ৩৮টি আসন সংরক্ষিত তফসিলি জাতি–তফসিলি উপজাতির জন্য। সুনীল অরোরার ঘোষণা, এবার পোলিং বুথ বিহারে প্রায় এক লক্ষ। সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার কারণেই বুথের সংখ্যা বাড়ানো হল। এজন্য প্রচুর লোকবল এবং প্রযুক্তিবল দরকার হবে। প্রতিটি বুথে ১৫০০–এর বদলে ১০০০ ভোটার ভোট দিতে পারবেন। ভোটদানের সময় বাড়ানো হল এক ঘণ্টা। ভোটদান শুরু হবে সকাল সাতটা থেকে এবং শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। ভোটার, বুথের কর্মী, প্রিসাইডিং অফিসার, নিরাপত্তাকর্মী সবাইকে কোভিড বিধি মেনে মাস্ক, গ্লাভস্ পরতে হবে। কর্মীদের জন্য সাত লক্ষের উপর স্যানিটাইজার ইউনিট, ৪৬ লক্ষের বেশি মাস্ক, ছয় লক্ষ পিপিই কিট, ৬.৭ লক্ষ ইউনিট ফেস–শিল্ড, ২৩ লক্ষ জোড়া গ্লাভস্–এর ব্যবস্থা করেছে কমিশন। শুধু ভোটারদের জন্যই ৭.২ কোটি একবার ব্যবহারযোগ্য গ্লাভস্ রাখা হচ্ছে। কোয়ারানটাইনে থাকা কোভিড রোগীরা নিজেদের এলাকার ভোট বুথে নির্বাচনের শেষ দিন, স্বাস্থ্যকর্মীদের তত্ত্বাবধানে ভোট দিতে পারবেন। এছাড়া তাঁদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা আগেই দেওয়া হয়েছে।