প্রবল সমালোচনার মুখে অবশেষে ভারতীয় ফেসবুক শাখার শীর্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আঁখি দাস

0
Spread the love

টিনিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, নিজস্ব প্রতিবেদন: দাবি উঠেছিল অনেক আগেই। অভিযোগ ছিল অসংখ্য। শেষ পর্যন্ত পক্ষপাতিত্বের মারাত্মক অভিযোগের ভিত্তিতে প্রবল চাপের মুখে ভারতীয় ফেসবুক শাখার শীর্ষ পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন আঁখি দাস।

আঁখি দাসের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরে অভিযোগ আসছিল তিনি ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ ও কুরুচিকর পোস্ট ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বিজেপি নেতাদের ছাড় দিয়ে আসছিলেন। বিশেষ করে হায়দ্রাবাদের কট্টর বিজেপি নেতা রাজা সিংয়ের বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট ও কুরুচিকর ভাষণ রুখতে তিনি কোনো রকম প্রচেষ্টায় করেন নি। এমনকি ফেসবুক প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ঘৃণা প্রচারকারী অনেক নেতাকে তিনি ঢাল করার অপচেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেসের বর্ষিয়ান নেতা শশী থারুর। আমেরিকার প্রখ্যাত দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে দাবি করা হয়েছে, আঁখি দাস অনেক সময় বিজেপি নেতাদের সমর্থনে সরাসরি মেসেজ পোস্ট করতেন। যা ফেসবুকের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তির সম্পূর্ণ বিপরীত।

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টির তরফ থেকে অনেক আগে থেকেই অভিযোগ করা হয়েছিল বিজেপি সরকার তার প্রচার ও প্রসারের জন্য ফেসবুক প্লাটফর্ম কে অনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে ও দেশের জনমতকে অন্যায় ভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। শুরুর দিকে এই অভিযোগ কেউ আমল না দিলেও পরবর্তীতে আমেরিকার প্রখ্যাত দৈনিক ওয়াল স্ট্রিটে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যেখানে সরাসরি বিজেপি পার্টি কে ফেসবুকে অযথা মাথা ঘামানোর ব্যাপারে দায়ী সব্যস্ত করা হয়। আর এই খবর প্রকাশের পর ভারতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে হইচই পড়ে যায়।

এদিকে আঁখি দাসের ব্যাপারে আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে, জানা যাচ্ছে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির ছাত্র শাখা এবিভিপির প্রাক্তন সভাপতি রেশমি দাসের বোন। এই বিষয়টি সামনে আসার পর প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল বিজেপির চরম তুলোধনা করেছে। অন্যদিকে সংসদীয় কমিটির সদস্য হিসেবে কংগ্রেসে নেতা শশী থারুর জানিয়েছেন, “শুধুমাত্র ইস্তাফা দিয়ে আঁখি দাস পার পাবেন না। তাকে অবশ্যই সংসদীয় কমিটির সামনে জবাবদিহি করতে হবে”। তবে আঁখি দাস তার ইস্তাফা দেওয়ার ব্যাপারে বেশি কথা বলতে রাজি হননি। তিনি শুধু এতোটুকু জানিয়েছেন,

“আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার”।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here