অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব বিজেপির নেতামন্ত্রীরা ! উত্তপ্ত গেরুয়া শিবির

0
Spread the love

টি নিউজ ওয়ার্ল্ড, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- রিপাবলিক টিভির এডিটর অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে সরব বিজেপির নেতামন্ত্রীরা। আজ সকালে বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যায় মুম্বাই পুলিশ। গ্রেফতারির প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসছে গেরুয়া শিবির।  বিজেপির একাধিক মুখপাত্র তো বটেই একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও মুম্বই পুলিশ তথা মহারাষ্ট্র সরকারের তীব্র বিরোধিতা করলেন। সুর মেলালেন কঙ্গনা রানাউতের মতো দক্ষিণপন্থী মুখও।

অর্ণবের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) বললেন,”যারা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলেন, আবার অর্ণবের গ্রেপ্তারি নিয়ে নীরব, তাঁরা আসলে অবদমনকে সমর্থন করছেন। হতেই পারে ওকে আপনাদের পছন্দ নয়, হতেই পারে ও আপনার চক্ষুশূল। কিন্তু এখন যদি আপনি মুখ না খোলেন, তাহলে আপনি ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করছেন। এরপর যদি আপনার সঙ্গে এমন হয়, তাহলে কী হবে?” আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর আবার বললেন,”মহারাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর এই হামলার প্রতিবাদ করছি আমরা। এভাবে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আচরণ করা ঠিক নয়। এটা আমাদের জরুরি অবস্থার কথা মনে করাচ্ছে। সেসময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করা হত।” খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলছেন,”কংগ্রেস এবং সঙ্গীরা আরও একবার গনতন্ত্রকে লজ্জায় ফেলল। অর্ণব গোস্বামীর উপর আক্রমণ ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপর হামলা। এটা আমাকে জরুরি অবস্থার কথা মনে করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করা হবে।”

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) স্পষ্ট বললেন,”এটা জরুরি অবস্থার ছায়া। যারা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন, তাঁদের এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত।” মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলছেন,”১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা শেষ হয়েছে, কিন্তু সেই মানসিকতা এখনও আছে। কংগ্রেসের সমর্থনে শিব সেনাও সেই মানসিকতাই দেখাচ্ছে। সমস্ত সরকার বিরোধী সুর দমন করা হচ্ছে।” এছাড়াও পীযুষ গোয়েল, অমিত মালব্য, হিমন্ত বিশ্বশর্মা থেকে শুরু করে বিজেপির সব স্তরের নেতাই অর্ণবের গ্রেপ্তারি নিয়ে সরব হয়েছেন।

বিজেপি নেতামন্ত্রীদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতও (Kangana Ranaut)। মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে তাঁর প্রশ্ন, “এভাবে আর আর কতজনের মুখ বন্ধ করা হবে? আর কতজনের কন্ঠস্বর দমিয়ে রাখবেন? কতজনের ঘর ভাঙবেন? সোনিয়া সেনা আপনারা যত মুখ বন্ধ করবে, তত বেশি আওয়াজ উঠবে। আমাদের আগেও অনেক শহিদের গলা কাটা হয়েছে, তাতেও দমানো যাবে না।” তবে এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের শাসক শিবিরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here