নিজস্ব সংবাদ দাতা ;টি নিউজ ওয়ার্ল্ড:-দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের বিগত দেড় মাসেরও অধিক সময় ধরে ধরনা চলছে। তারা বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবি সহ এম এস পি কে আইনি স্বীকৃতির দাবি জানাচ্ছে। সরকার ও কৃষক সংগঠনের মধ্যে ১১ দফা আলোচনা ব্যার্থ হয়েছে। ধরনা চলাকালীন প্রচন্ড শীতে প্রায় ৭০ জন কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন। এই সমস্ত মৃত্যু বিতর্কিত আইন এর বিরোধিতা করতে,কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন দিতে গিয়ে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও অপদার্থ সরকারের তরফ থেকে কোনো নরম সুর বা প্রচন্ড শীতে বসে থাকা কৃষকদের দুর্দশা দেখে কোন মায়া লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। আন্দোলনরত কৃষকদের ধৈর্য ও মনোবল প্রশংসার দাবি রাখে। কৃষকদের মধ্যে ধৈর্য ও সাহস, বিল পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরে না গিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিলের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি, মাওলানা আব্দুত তাওয়াব।
তিনি আরো বলেন, কৃষক সংগঠনগুলির সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য এ পর্যন্ত বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন কিন্তু অন্ধ, বোবা ও অপদার্থ সরকারের কোন হেলদোল নেই।
তাই ২৬ ই জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষক সংগঠনগুলি রাজধানী দিল্লিতে ট্রাক্টর রালি করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী ও সঠিক বলে মনে করে অল ইন্ডিয়া ইমামস্ কাউন্সিল।
তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, সংঘ পরিবার দ্বারা পরিচালিত হয়ে দেশের মানুষের খাদ্য যোগানদাতা কৃষকদের বিরোধিতা করে দেশের আইন লংঘন করছে, এই সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে পিছিয়ে এসে উক্ত কালো আইন বাতিল করা উচিত। কেননা এই আইন দেশের গরিব জনগণ ও কৃষিনির্ভর মানুষের জীবনে সংকট সৃষ্টি করবে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি আরো বলেন যে, দেশের সরকার জনগণের প্রতি অত্যাচার নির্যাতন করা পরিস্থিতিতে, সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলা অত্যান্ত জরুরী হয়ে পড়ে। সেই জন্য কৃষকদের দ্বারা ঘোষিত ট্রাক্টর রেলিকে সমর্থন জানাচ্ছে অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল। সেই সাথে ১৪০ কোটি দেশের জনগণকে অনুরোধ জানাচ্ছে যে, প্রতিটি জনগণ যেন কৃষকদের স্বার্থ রক্ষাকল্পে একতাবদ্ধ হয়ে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাই। তার সঙ্গে কৃষকদের প্রতি এই অনুরোধ জানাচ্ছে যে এই আন্দোলন যেন দেশের আইন মেনে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, শান্তিপূর্ণভাবে, সরকারের প্রতি নিজেদের দাবি উপস্থাপন করে।