কাঠালকাঁঠাল গাছে ফল না ধরার কারন ও উপায়।
প্রতি বছর সঠিক পরিচর্যার অভাবে এবং রোগ ও পোকার কারনে অনেক ফলন কমে যায়। তাই সঠিক পরিচর্যা এবং রোগ ও পোকামাকড় দমন করে বাংলাদেশের জাতীয় ফলের ফলন বৃদ্বি করা সম্ভব। নিচে তা আলোচনা করা হল:
(১) গাছের শারীরিক অবস্থা দুর্বল হলে।
(২) মানুষের চলাফেরা এবং গাছের গোড়াতে গরু-মহিষ বাঁধানোর ফলে গাছের গোড়ার মাটি শক্ত হয়ে গেলে।
(৩) কাঁঠাল গাছে অনেক সময় অত্যাধিক তেজ বা বৃদ্বির প্রবনতা দেখা গেলে সে ক্ষেএে ফুল ফল ধরবে না।
(৪) ছোট গাছে ফুল ধরার প্রথম পর্যায়ে কাঁঠাল গাছে সাধারনত পুরুষ ফুল উৎপাদন করে থাকে, এ জন্য প্রথম এক/ দুই বছর ফল হয় না বা হলেও সামান্য।
(৫) পুরুষ ও স্ত্রীফুলের বয়সের পার্থক্য বেশী হলে ফল ঝরে পড়ে।
(৬) অতিরিক্ত খরা হলে।
(৭) অপুষ্টির কারনে ফল ঝরে পড়ে।
(৮) মাটিতে কোন সমস্যা থাকলে ( যেমন- লবণাক্ততা, বেশী এসিড বা ক্ষার প্রভৃতি)।
(৯) রোগ দ্বারা আক্রান্ত হলে।
(১০) পোকামাকড় দ্বারা আাক্রান্ত হলে ফল ঝরে পড়ে ।
কাঁঠালের ফলন বৃদ্বির জন্য পরামর্শ দেওয়া হল ঃ-
সঠিক পরিচর্য
(১) সুষম সার ব্যবহার করতে হবে । একটি ১০-১৫ বছরের গাছে গোবর ৬০-৮০ কেজি, ইউরিয়া ১-১.২০ কেজি, টি.এস.পি ০.৮০-১.০ কেজি, এম. পি ১ কেজি, সারগুলি তিন ভাগে ভাগ করে ( গাছের বয়স ৫-১০ বছর হলে উহার অর্ধেক এবং ১৬ বছরের বেশী হলে উহার দেড় গুন সার প্রয়োগ করতে হবে) প্রতি বছর র্ফেরুয়ারী মাসে এক বার, বর্ষার পূর্বে এক বার ও বর্ষার পরে এক বার প্রয়োগ করতে হবে। (
২) খরা মৌসুমে যখন আকাশ দীর্ঘ দিন বৃষ্টিপাতহীন থাকে এবং মাটিতে রসের অভাব হয়, তখন কাঁঠাল গাছের গোড়ায় যে কোন পদ্বতিতে সেচ দিতে হবে। বিশেষ করে বসন্ত কালে যখন কাঁঠাল গাছে মুচি ছোট থাকে তখন সেচ প্রয়োগ না করলে রসের অভাবে ফল ঝরে যেতে পারে বা আকারে ছোট হয়ে যায়। তাই খরা মৌসুমে ১৫-২০ দিন পর পর সেচ দিতে হবে, তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন জলাবদ্বতা সৃষ্টি না হয়।
(৩) গাছের গোড়ায় গরু-মহিষ বাঁধানো যাবে না বা মানুষ চলাচলের পথ রাখা যাবে না।
(৪) গাছের গোড়া আগাছামুক্ত রাখতে হবে এবং মাটি কুপিয়ে ঝুরঝুরে করে রাখতে হবে।
(৫) অত্যাধিক তেজ হলে কিছু ডালপালা কেটে দিতে হবে।
(৬) কৃএিম পরাগায়নের মাধ্যমে (পুরুষ ফুল ছিড়ে সকাল বেলা স্ত্রী ফুলে স্পর্শ করতে হবে) ফল ঝরা রোধ করা যেতে পারে।
(৭) সঠিক সময়ে রেগ ও পোকা মাকড় দূর করতে হবে।