নিজস্ব সংবাদদাতা; টিনিউজ ওয়ার্ল্ড:- দিল্লিতে যারা সরকার চালান তাদের দেড় মাস থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জানতে পারলাম তাঁরা বাংলায় এসেছেন। তাই আমরা দিল্লীর সরকারকে খুঁজতে বাংলায় এসেছি। নন্দীগ্রামের সভা থেকে এমনই মন্তব্য করলেন কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকাইত।এ
বার বাংলার নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের নজর নন্দীগ্রামে। এক দিকে প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরেক দিকে, প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই মনোনয়ন দিয়েছেন দু’জনেই। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচারও। এদিন সেই নন্দীগ্রামে সেখানে আয়োজিত সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা মহাপঞ্চায়েতের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাকেশ টিকাইতের আবেদন, বাংলায় বিজেপি যেন জিততে না পারে। যদিও তিনি দাবি করেন, এখানে কারও হয়ে প্রচার করতে আসেননি।
বক্তব্যের শুরুতে বলেন দিল্লিতে যারা সরকার চালান “জানতে পারলাম দিল্লির নেতারা বাংলায় এসেছেন। তাই আমরা দিল্লির সরকারকে খুঁজতে বাংলায় এসেছি।” তিনি বলেন কৃষকদের দাবি যতক্ষণ কেন্দ্র সরকার মেনে না নিচ্ছেন ততদিন এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কৃষক নেতাদের আভিযোগ কেন্দ্র সরকার বড় বড় শিল্পপতিদের জন্যে কাজ করছে। কৃষি বিলের নামে বড় বড় শিল্পপতিদের হাতে কৃষকদের জমি তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সে কারণে দেশের কোনায় কোনায় আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে।
টিকাইত আরও জানান; বিজেপিকে হারানোর জন্যে তাঁরা মানুষের কাছে এসেছেন। বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার জন্যে আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা। তাঁর কটাক্ষ, বিজেপি জিতলে দেশের কৃষকদের সঙ্কট বাড়বে। বড় বড় শিল্পপতিরা শুধু লাভবান হবেন ।
অন্যদিকে এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেধা পাটেকার বলেন, নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের সময় এখানকার মানুষ জাতি-ধর্ম, নারী-পুরুষ ভেদাভেদ না করে রাস্তায় নেমেছিলেন। আজ সেই নন্দীগ্রামে জাতি-ধর্মের বিভাজনের রাজনীতি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি নন্দীগ্রামের মানুষদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা ইন্দোনেশিয়ার একটা শিল্পপতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন। বিজেপি ক্ষমতায় এসে এরকম অনেক শিল্পপতি আপনাদের জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। জাতি ধর্মের রাজনীতি যারা করে তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।” তিনি আরও বলেন শুভেন্দু অধিকারী, কৈলাস বিজয়বর্গী বললেও আপনারা শুনবেন না। এর পর শুভেন্দুকে নিশানা করে মেধা পাটেকর বলেন, উনি সিবিআইর ভয়ে বিজেপিতে গিয়েছেন। তাই বিজেপি বাদে অন্য যাকে পছন্দ তাকেই ভোট দেবেন।