মালতিপুরে প্রার্থী হিসেবে মতিউর রহমানকে চাইছে মিম কর্মীরা

0
Spread the love

নিজস্ব সংবাদদাতা; টি নিউজ ওয়ার্ল্ডঃ- মালতিপুরে প্রার্থী হিসেবে মতিউর রহমানকে চাইছে মিম কর্মীরা। আগামী ২৭ সে মার্চ রাজ্যে আসছে মিম সুপ্রিমো ব্যারিস্টার আসাউদ্দিন ওয়েসী। সভা করবেন মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে;  তার আগে মালতিপুর বিধানসভা আসনে প্রার্থী হিসেবে শিক্ষক মতিউর রহমানকে চাইছে মিম কর্মীরা। মিমকর্মী আব্দুল আজিজ,নজিবুল হক;  তজিবুর রহমান। আজিজুল হক বলেন ; মতিউর রহমান ২০১৩ সাল থেকে মিমের কাজ করে চলেছে। যে কোনো বিপদে আপদে তাকে পাশে পাওয়া যায়। মালতিপুরের মানুষ কোনো বহিরাগত প্রার্থীকে বিধায়ক হিসেবে চাইছে না। তারা চাই মালতিপুরের ভূমিপুত্র বিধায়ক।
মিমকর্মী আব্দুল আজিজ ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন,
দীপ্সীতা ধর, মীনাক্ষী মুখার্জি , ঐশী ঘোষ , সৃজন ভট্টাচার্য সোস্যাল মিডিয়ায় চর্চিত মুখ । বামফ্রন্ট কজন Ph.D স্কলার মুসলিম ছেলেকে প্রার্থী করেছে ? আপনার কাছে এই প্রশ্নের উত্তর নেই । দেবাংশু ভট্টাচার্য মিডিয়ায় প্রবক্তা । তৃণমূল দলে কজন উচ্চ শিক্ষিত মুসলিম ছেলে মেয়ে নেতৃত্বে আছে? উত্তর আপনার কাছে জানা নেই । তাহলে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও তৃণমূল আমাদের বুথ দখলের জন্য লেঠেল বানাবে , কিন্তু আমাদের মধ্য থেকে যোগ্য ছেলে মেয়েকে রাজনৈতিক নেতা বানাবে না । তাহলে আমাদেরকেই আমাদের রাজনৈতিক নেতা নির্বাচন করতে হবে ।

সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে মিমের(AIMIM) সৈনিক মালদার মতিউর রহমানকে সবাই চেনে । তিনি দলের নির্দেশকে লঙ্ঘন করেন না । ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি তাঁর চোখে রাজনৈতিক আইকন । পশ্চিমবঙ্গ মিম ইনচার্জ মাজিদ হুসেনের স্নেহধন্য । মতিউর রহমানকে ভালোবাসে হাজার হাজার মিম(AIMIM) প্রেমী মানুষ । আমি মালদা জেলায় মিমের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে এসেছি । সকালে মতিউর রহমান ছাড়াই চায়ের দোকান , চাষী , শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে গেছি । সন্ধ্যায় মতিউর রহমান ভাইয়ের সঙ্গে মিম কর্মীদের জনসংযোগে বেরিয়ে পড়ি । আমার উপলব্ধির কিছু কথা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা যাক ।

১) মালদার মানুষ শান্তিপ্রিয় । অপরকে আপন করে নেওয়ার মানসিকতা এঁদের আছে । মন খুলে এঁরা অন্য মানুষের সঙ্গে কথা বলতে ভালোবাসে । রাজনৈতিক হিংসা এখানে খুবই কম ।
২) অন্য জেলার থেকে এখানে মিম(AIMIM) আশা রাখি খুবই ভালো ফলাফল করবে । কারণ সাংগঠনিক শক্তি বুথ স্তর পর্যন্ত করে রেখেছেন মতিউর রহমান ভাই ।
৩) মতিউর রহমান ভাই মিমের প্রচারে নিজস্ব মাইক্রোফোন ও বক্স সিস্টেম কিনে রেখেছেন । যা দিয়ে অনায়াসে যে কোনো জায়গায় মিমের একটা ছোটো মিটিং সেরে নেওয়া যায় । আমি এরকম মিটিংয়ের সাক্ষী আছি ।
৪) মতিউর রহমান ভাইয়ের ছাত্ররা খুবই সহযোগিতা করছে মিমের প্রচার প্রসারতায় ।
৫) মালদা জেলায় পরিচিত বহু মুসলিম মুখের কাছে মতিউর রহমান ভাই মিমের বার্তা নিয়ে যান ।
৬) কখনও চার চাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়া হয় । কখনও বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়া হয় প্রচারে । রাত এগারোটার আগে ঘরে ফেরা হয় না ।
৭) নিয়মিত ফোন আসে মতিউর ভাইয়ের কাছে । শত ব্যস্ততার মাঝে সবার ফোন ধরার চেষ্টা করেন ।
৮) অন্যদল ত্যাগ করে মিমে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর বাড়িতে বহু মানুষ আসে ।
৯)তিনি যা বেতন পান তা থেকেই পার্টির পিছনে ব্যয় করেন ।
১০) কীভাবে মিম প্রেমী কর্মীদের সম্মান দিতে হয় তা তিনি জানেন । আর তাঁর কর্মী সমর্থকরা খুবই ভালো ।
১১) মালদায় বুথ স্তরের মিম কর্মী সমর্থকরা খুবই পরিশ্রমী । মিমের জন্য তারা রাতদিন পরিশ্রম করতে প্রস্তুত ।
১২) সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে মতিউর রহমান ভাই নির্দ্বিধায় কথা বলেন । মনের মধ্যে অহংকার রাখেন না ।

বর্তমানে তিনি বেশ জনপ্রিয় । পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে আগামীদিনে মিম(AIMIM) সৈনিক হিসাবে শিক্ষক মতিউর রহমান আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন সে বিষয়ে আমি খুব আশাবাদী । মিম(AIMIM) নেতৃত্ব মতিউর রহমানকে প্রার্থী করলে সবার কাছে আমার অনুরোধ আমরা সবাই যেন মতিউর রহমান তথা মালদায় মিম সমর্থক কর্মীবৃন্দদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি । কে বড় কে ছোটো ? এই হিংসা নয় । রাজনৈতিক নেতা তৈরিতে আমরা সবাই সহযোগি হয়ে উঠবো । এটাই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি ।

বিজেপি দলের প্রার্থী বদলে বিক্ষোভ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here