শীতলকুচি কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

0
Spread the love

নিজস্ব সংবাদদাতা টি নিউজ ওয়ার্ল্ড:- শীতলকুচিকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের। শীতলকুচির ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। জানা যাচ্ছে, জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী আমিনুদ্দিন খান। কীভাবে গুলি চলল শীতলকুচিতে, তা নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। আগামীকাল মামলাটি আদালতের সামনে উল্লেখ করার সম্ভাবনা।
উল্লেখ্য, শনিবার ভোট শুরু হতেই শীতলকুচির পাঠানটুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৮ বছরের এক যুবকের। বেলা গড়াতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এরপর উত্তেজনা ছড়ায় জোরপাটকি এলাকায়। ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এলোপাথারি গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আরও চারজনের। নির্বাচন কমিশন জানায় CAPF জওয়ানদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। গোটা ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কোচবিহারে শীতলকুচিতে গুলিকাণ্ডের পর কড়া পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য কোচবিহার জেলায় কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা প্রবেশ করতে পারবেন না। এমন নিষেধাজ্ঞাই জারি করল কমিশন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজ্য বা দেশের কোনও রাজনৈতিক নেতা ওই জেলায় আগামী তিনদিন ঢুকতে পারবেন না।

এদিকে, শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। শীতলকুচির ঘটনা প্রসঙ্গে সোমবার ফের মোদী বললেন, ‘কোচবিহারে কয়েকদিন আগে যাদের মৃত্যু হল, তাঁরাও মায়ের সন্তান। দিদির নীতি মায়ের কোল খালি করেছে।’ এর আগে চতুর্থ দফার ভোটের দিন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘কোচবিহারের ঘটনা দু:খজনক। BJP ক্ষমতায় এলে বিচার হবে। দিদি ও তার গুন্ডারা এ

অন্যদিকে, সোমবার রানাঘাটে নির্বাচনী সভা থেকে এই ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘প্ল্যান করে একজন মহিলাকে পাঠিয়েছিল BJP। তারপর গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেয় চারজনকে। আর এই সবটাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের চক্রান্ত।’ শুধু তাই নয়, শীতলকুচি কাণ্ডের গোটা প্ল্যান প্রধানমন্ত্রী জানতেন বলেও এদিন মন্তব্য করেন মমতা। সোমবারের জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে আগাগোড়াই উঠে আসে শীতলকুচি কাণ্ডের প্রসঙ্গ। দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহার নাম না করেই এদিন তিনি বলেন, ‘এক একজন BJP নেতা বলছে আরও গুলি করা উচিত ছিল। কেউ কেউ বলছে আটজনকে গুলি করা উচিত ছিল। এই নেতাদের ব্যান করা উচিত।’ সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে এদিন মমতার বার্তা, ‘ওদের স্লোগান হরে কৃষ্ণ হরি হরি, গুলি করে মানুষ মারি। তাই বলছি এই BJP-কে একটা ভোটও নয়।’

“জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে” হুঁশিয়ারি দীলিপ ঘোষের

কালোজিরা তেলের উপকারিতা

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here